দেশটাকে অাফগানিস্তান বানাবেন না।
তরুণ প্রজন্মের যে অান্দোলন শুরু হয়েছে তার সাথে
একাত্নতা পোষণ না করে পারা যায় না। তবে একটা বিষয় অামাদের সবার মনেই দাগ
লাগছে। বিষয়টা হচ্ছে এখানে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের প্রস্তাব অাসছে। যদি
দুষি হয় তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা বিরুধীতা করেছিল তারা দুষি হবে।
এখানে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের প্রশ্ন অাসছে কেন? শুধুমাত্র জামাত-শিবিরই
ইসলামী রাজনীতি করে না এই দেশে অনেক ইসলামী দল অাছে। যুদ্ধপরাধীদের শাস্তি
দেন, ফঁাসি দেন কোন সমস্যা নেই। ইসলামী রাজনীতি বন্ধের প্রস্তাব অানেন কেন?
অারেকটা বিষয় হচ্ছে ব্লক, ফেকবুকে অনেকেই প্রশ্ন তুলছে দঁাড়ি, টুপি
দেখলেই নাকি শিবির জামাত সন্দেহ করছে। একটা বিষয় ভূলে গেলে চলবে না ৮০%
মুসলমানদের দেশে দঁাড়ি, টুপি জামাত-শিবিরের একার সম্পদ না। এটা সমগ্র
মুসলিমদের সম্পদ। যারা নবীকে বিশ্বাস করেন, অাল্লাহকে মানেন তাদের বলছি
অাপনি যদি দঁাড়ি, টুপিকে অপমান করেন তাহলে অাপনি নবী এবং অাল্লাহকে অপমান
করছেন। এর শাস্তি কি হতে পারে অামরা নিশ্চই জানি। অারেকটা বিষয় হচ্ছে
প্রজন্ম চত্বরে যা হচ্ছে তা সকলেই স্বাগত জানাচ্ছে। তবে একটা বিষয় এখানে
ভাবনার অাছে।অামেরিকার মত দেশ এখন অাফগানিস্তানে তালেবানের সাথে কথা বলতে
অাগ্রহী। কারণ তালেবান অাফগানিস্তানের বিশাল একটা গোষ্ঠী। একটা গোষ্ঠীকে
জীবনে ও নিঃশ্বেষ করা যায় না। পাকিস্তান তালেবানের উপর হামলা চালানোর
কারণে পাকিস্তানে অহরহ গাড়ি বোম, জঙ্গি হামলা হয়েছে। বাংলাদেশে ও শুরু
হয়ে গেছে। এখন পুলিশের উপর অাক্রমণ হচ্ছে। তাদের নিষিদ্ধ করলে অাত্নগোপনে
চলে যাবে। তারপর দেখবেন ঢাকাতে গাড়ি বোমা হামলায় ৪৫ জন নিহত। চট্রগ্রামে
৩৫ জন নিহত। এরকম প্রতিদিনই খবর অাসতে থাকবে। সুতরাং অামাদের
মুক্তিযুদ্ধের সন্তানরা অনেক বুদ্ধিমান তারা সবকিছু বুঝে শুনেই কাজ করবে
অাশা করি। অামি যেই অাশংকার কথাগুলি বলেছি তা একটু ভেবে দেখবেন। কথায় অাসে
ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবি ও না। এখন সময় এসেছে ভাবার। অামরা নিশ্চয়ই
চায়না অামাদের দেশ অাফগানিস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়ার মত কোন দেশ হয়।
এরকম যদি হয় তাহলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবেন না। অামাদের মত জনসাধারণ ও
নিশ্চই শান্তিতে থাকতে পারবে না।
কসবা, বি-বাড়ীয়া।
কসবা, বি-বাড়ীয়া।
No comments:
Post a Comment