ওডেস্কে আমি যেভাবে কাজ পাই - শেষ পর্ব
গত পর্বে
আমরা ওডেস্কে কাজ পাওয়ার জন্য প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের অনেক বিষয় আলোচনা
করেছিলাম। আজ আমরা দেখব মাই টেস্ট সেকশন এবং কভার লেটার লিখার কিছু সাধারন
নিয়ম, সাথে থাকছে কাজ পাওয়ার কিছু স্পেশাল টিপস।
My Test পরিচিতি:
এখানে আপনি অপনার কাজের ধরন অনুসারে বিভিন্ন টেস্ট দিতে পারেন। টেস্টগুলোতে পাশ করলে আপনাকে ক্লায়েন্ট নির্দিষ্ট কাজের ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দিবে। প্রাথমিকভাবে একজন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইলের Portfolio, Test এবং Resume এর উপর ভিওি করে কাজ দিয়ে থাকে।
আপনি যদি ওয়েব ডেভলাপার হন তাহলে ওয়েব ডেভলাপমেন্টের যে ল্যঙ্গুয়েজ এবং ফ্রেমওয়ার্কগুলো নিয়ে আপনি কাজ করেন সেগুলোর উপর পরীক্ষা দিতে পারেন। ওডেস্কে প্রায় ৩৪৪টি বিষয়ের উপর পরীক্ষা দেওয়া যায়।
ধরুন আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার, আপনি psd to xhtml, css editing এর কাজ করেন । তাহলে আপনি ওডেস্কে HTML 4.01 Test, CSS 2.0 Test, XHTML 1.0 Test, CSS 3 Test, Adobe Photoshop Test গুলো দিতে পারেন । টেস্টগুলোতে ভাল মার্কস পেলে ক্লায়েন্ট আপনাকে এই ধরনের কাজে বিশ্বাস করবে।
আপনি যদি ওয়েব প্রোগ্রামার হন তাহলে আপনি PHP Test, Advanced PHP Test, MySQL Test, Joomla Test, Wordpress Test দিতে পারেন। অনেক সময় ক্লায়েন্ট তার প্রজেক্টের বিবরণে বলে দেয় যে নির্দিষ্ট টেষ্টে আপনাকে পাশ করতে হবে।
সাধারনত সব পেশার লোকজন যে টেস্টগুলো দিতে পারেন সেগুলো হচ্ছে
১) oDesk readiness test এই টেস্টে পাশ করার মানে হচ্ছে আপনি ওডেস্কের নিয়মকানুনগুলো জানেন।
২) U.S. English Basic Skills Test
৩) English Spelling Test (U.S. Version) এই দুটি টেস্টে পাশ করলে ক্লায়েন্ট বুঝবে আপনি ইংরেজীতে দক্ষ।
যেভাবে টেস্ট দিবেন:
অপনার প্রোফাইলের হোমপেজ থেকে Find Contractors & Jobs >Test এ ক্লিক করুন। এখন উপরের ছবির মতো পেজ আসবে যেখানে সবগুলো টেস্টের নাম আছে।
এখন আপনি যে বিষয়ের টেস্ট দিতে চান সেটির উপর ক্লিক করুন। তখন টেস্টের সিলেবাস এবং নিয়মকানুন আসবে, এগুলো দেখে পরীক্ষা দিয়ে দিন। আর পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে ভাল করে প্রস্তুতি নিতে ভুলবেন না।
এখন আপনি যে বিষয়ের টেস্ট দিতে চান সেটির উপর ক্লিক করুন। তখন টেস্টের সিলেবাস এবং নিয়মকানুন আসবে, এগুলো দেখে পরীক্ষা দিয়ে দিন। আর পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে ভাল প্রস্তুতি নিতে ভুলবেন না।
কিভাবে ওডেস্ক-এর জবে বিড বা অ্যাপ্লাই করবেন :
পদ্ধতিটি এই লিংক থেকে দেখে নিন: http://bn.jinnatulhasan.com/2011/06/5533/
কিভাবে কভার লেটার লিখবেন:
কভার লেটার হচ্ছে ওডেস্কের কাজের আবেদনপত্র । অনেকেই কভার লেটার লিখার নির্দিষ্ঠ নিয়মের কথা বলেন, তবে আমার কাছে মনে হয় আপনি যে কাজের জন্য আবেদন করছেন কভার লেটারের মাধ্যমেই আপনাকে বুঝাতে হতে যে কাজটায় আপনি দক্ষ। যেমন আমি প্রথম চারটি জব পাই নিচের সাধারণ কভার লেটারটি দিয়ে –
Dear Sir,
I have 2 years experience in web development.
Please see my latest project:
http://www.domain1.com/
http://www.domain2.subdomain.com/
http://www.domain3.com/theme/spark
http://www.domain4.com/
And accept me
Thanks
Myname
ভাল হয় যতি আরেকটু সুন্দরভাবে নিচের মত করে কভার লেটার লিখতে পারলে,
Hi,
I have gone through your job posting, and I'm very much interested to
work with you. I have completed several web development projects.
And I think I can support you on this with my best effort. You can visit
my latest web projects.
http://www.domain1.com/
http://www.domain2.com/
http://www.domain3.com/
Looking forward to hearing from you :)
With Thanks
Myname
কভার লেটারে কি কি বিষয় থাকতে হয় তা নিচের লেটারে দেখানো হল
কভার লেটার সম্পর্কে আরও জানতে আপনি এই পোস্টটি দেখে নিতে পারেন।
নতুনদের কাজ পাওয়ার কিছু স্পেশাল টিপস:
১) প্রথমদিকে খুবই কম বজেটে বিড করুন এবং টাকার দিকে গুরুত্ব না দিয়ে রেটিং এবং ফিডব্যাকের প্রতি গুরুত্ব দিন।
২) যে প্রজেক্টে বিড করবেন তা ভালকরে বুঝে নিন । কোন একটি রিক্যেয়ারমেন্ট না পারলে কাজ না নেওয়াই ভাল।
৩) যে প্রজেক্টে বিড করবেন সে প্রজেক্টের ক্লায়েন্ট সম্পর্কে অন্য কন্টাক্টররা কি ফিডব্যক দিয়েছে এবং তার পেমেন্ট পদ্ধতি ভেরিফাইড আছে কিনা দেখে নিন।
৪) আপনার কাজের ব্যাপারে ১০০% সৎ থাকুন।
৫) সাধারনত এই এশিয়ান সাবকন্টিনেন্টের (ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া) ক্লায়েন্টদের প্রজেক্টে বুঝেশুনে বিড করুন, তারা অনেক সময়ই কথা দিয়ে কথা রাখে না। আপনি নিশ্চিন্তে আমেরিকান, কানাডিয়ান, ইউরোপিয়ান, অষ্টেলিয়ান ক্লায়েন্টদের প্রজেক্টে বিড করতে পারেন।
৬) নতুন কাজে বেশি বিড করুন। একটা নতুন জব পোস্ট হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিড করতে পারলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশিরভাগ সময় ক্লায়েন্ট প্রথম কয়েকজনের মধ্যেই কাউকে ইন্টারভিউতে ডাকে।
৭) সুন্দর, সাধারণ এবং সংক্ষিপ্ত কভার লেটার লিখুন। ক্লায়েন্টের চাহিদাগুলো ভালোভাবে পড়ুন এবং রিক্রয়ারমেন্ট অনুসারে কভার লেটার লিখতে চেষ্টা করুন। কেন আপনি এই কাজের উপযোগী, কেন আপনাকে ক্লায়েন্ট নিয়োগ করবে সে কথা পরিষ্কার করে লিখুন। আগের যদি কোন অভিজ্ঞতা বা কাজের নমুনা থাকে তাহলে তার লিংক দিন কভার লেটারে। ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যম ব্যাবহার করবেন না।
৮) নতুনরা ৫০ ডলারের কাজের জন্য ১০ ডলারের মধ্যে বিড করুন । কেন কম বিড করেছেন সেটা কাজদাতাকে কভার লেটারে লিখুন। বলুন- আপনি ওডেস্কে নতুন। আপনি অনেক কাজ জানেন এবং অভিজ্ঞ। কিন্তু যেহেতু নতুন তাই এই মুহূর্তে আপনার টাকার চেয়ে ভালো কিছু ফিডব্যাক দরকার। তাই কম টাকা বিড করেছেন। দেখবেন সহজেই ইন্টারভিউতে ডাক পাবেন, যার অর্থ হচ্ছে ক্লায়েন্ট আপনার কাছে আরও কিছু জানতে চাচ্ছে। যা জানতে চাচ্ছে তা পরিষ্কার জবাব দিন। বাড়তি কথা বলবেন না। নিজের কাছে নিজে সৎ থাকবেন। এবং বলবেন- আপনি পরিশ্রমী, অভিজ্ঞ এবং সৎ।
৯) বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে বিড করুন। এই সময়ে ওডেস্কে সবচেয়ে বেশি জব পোস্ট হয় এবং বিডকারীর সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। এই সময়ে বিড করলে ইন্টারভিউতে দ্রুত ডাক পাওয়া যায়।
১০) প্রতিদিন বুঝে কমপক্ষে দুটি জবে বিড করুন। নতুনদের অনেক বেশী বিড করতে হবে, যত বেশী জবে বিড করবেন কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশী থাকবে। বিষয়টি এমন নয় যে আপনি নতুন, আপনাকে ২০-২৫টি জবে বিড করেই জব পেয়ে যাবেন। আপনি নতুন হিসেবে ধরে নিতে পারেন কমপক্ষে ২০০টি জব বুঝে বিড করার পর প্রথম কাজটি পাবেন তবে প্রথম কয়েকটি বিড করেয় কাজটি পেয়ে যেতে পারেন।
মূল কথা হচ্ছে, ওডেস্ক বা অন্য যেকোন মার্কেটপ্লেসে যদি সফলতার সাথে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে যেকোন একটি বিয়য়ে ভালভাবে দক্ষ হোন। সেটি হতে পারে সফ্টওয়্যার ডেভলাপমেন্ট, ওয়েব ডেভলাপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, সার্স ইন্জিন অপটিমাইজেশন, ডাটা এন্ট্রি বা সশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং । তারপর আপনার পছন্দের মার্কেটপ্লেসে একটি একাউন্ট খুলুন এবং আপনার প্রোফাইল শক্তিশালী করুন, তারপর নির্দিষ্ট বিয়য়ের জবগুলোতে ভালভাবে বুঝে বিড করুন এবং কভার লেটারের মাধ্যমে ক্লায়েন্টকে বুঝান যে কাজটায় আপনি দক্ষ। তাহলে সাফল্য পেতে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
১ম পর্বের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
লেখক - নাজমুল হক
My Test পরিচিতি:
এখানে আপনি অপনার কাজের ধরন অনুসারে বিভিন্ন টেস্ট দিতে পারেন। টেস্টগুলোতে পাশ করলে আপনাকে ক্লায়েন্ট নির্দিষ্ট কাজের ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দিবে। প্রাথমিকভাবে একজন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইলের Portfolio, Test এবং Resume এর উপর ভিওি করে কাজ দিয়ে থাকে।
আপনি যদি ওয়েব ডেভলাপার হন তাহলে ওয়েব ডেভলাপমেন্টের যে ল্যঙ্গুয়েজ এবং ফ্রেমওয়ার্কগুলো নিয়ে আপনি কাজ করেন সেগুলোর উপর পরীক্ষা দিতে পারেন। ওডেস্কে প্রায় ৩৪৪টি বিষয়ের উপর পরীক্ষা দেওয়া যায়।
ধরুন আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার, আপনি psd to xhtml, css editing এর কাজ করেন । তাহলে আপনি ওডেস্কে HTML 4.01 Test, CSS 2.0 Test, XHTML 1.0 Test, CSS 3 Test, Adobe Photoshop Test গুলো দিতে পারেন । টেস্টগুলোতে ভাল মার্কস পেলে ক্লায়েন্ট আপনাকে এই ধরনের কাজে বিশ্বাস করবে।
আপনি যদি ওয়েব প্রোগ্রামার হন তাহলে আপনি PHP Test, Advanced PHP Test, MySQL Test, Joomla Test, Wordpress Test দিতে পারেন। অনেক সময় ক্লায়েন্ট তার প্রজেক্টের বিবরণে বলে দেয় যে নির্দিষ্ট টেষ্টে আপনাকে পাশ করতে হবে।
সাধারনত সব পেশার লোকজন যে টেস্টগুলো দিতে পারেন সেগুলো হচ্ছে
১) oDesk readiness test এই টেস্টে পাশ করার মানে হচ্ছে আপনি ওডেস্কের নিয়মকানুনগুলো জানেন।
২) U.S. English Basic Skills Test
৩) English Spelling Test (U.S. Version) এই দুটি টেস্টে পাশ করলে ক্লায়েন্ট বুঝবে আপনি ইংরেজীতে দক্ষ।
যেভাবে টেস্ট দিবেন:
অপনার প্রোফাইলের হোমপেজ থেকে Find Contractors & Jobs >Test এ ক্লিক করুন। এখন উপরের ছবির মতো পেজ আসবে যেখানে সবগুলো টেস্টের নাম আছে।
এখন আপনি যে বিষয়ের টেস্ট দিতে চান সেটির উপর ক্লিক করুন। তখন টেস্টের সিলেবাস এবং নিয়মকানুন আসবে, এগুলো দেখে পরীক্ষা দিয়ে দিন। আর পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে ভাল করে প্রস্তুতি নিতে ভুলবেন না।
এখন আপনি যে বিষয়ের টেস্ট দিতে চান সেটির উপর ক্লিক করুন। তখন টেস্টের সিলেবাস এবং নিয়মকানুন আসবে, এগুলো দেখে পরীক্ষা দিয়ে দিন। আর পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে ভাল প্রস্তুতি নিতে ভুলবেন না।
কিভাবে ওডেস্ক-এর জবে বিড বা অ্যাপ্লাই করবেন :
পদ্ধতিটি এই লিংক থেকে দেখে নিন: http://bn.jinnatulhasan.com/2011/06/5533/
কভার লেটার হচ্ছে ওডেস্কের কাজের আবেদনপত্র । অনেকেই কভার লেটার লিখার নির্দিষ্ঠ নিয়মের কথা বলেন, তবে আমার কাছে মনে হয় আপনি যে কাজের জন্য আবেদন করছেন কভার লেটারের মাধ্যমেই আপনাকে বুঝাতে হতে যে কাজটায় আপনি দক্ষ। যেমন আমি প্রথম চারটি জব পাই নিচের সাধারণ কভার লেটারটি দিয়ে –
Dear Sir,
I have 2 years experience in web development.
Please see my latest project:
http://www.domain1.com/
http://www.domain2.subdomain.com/
http://www.domain3.com/theme/spark
http://www.domain4.com/
And accept me
Thanks
Myname
ভাল হয় যতি আরেকটু সুন্দরভাবে নিচের মত করে কভার লেটার লিখতে পারলে,
I have gone through your job posting, and I'm very much interested to
work with you. I have completed several web development projects.
And I think I can support you on this with my best effort. You can visit
my latest web projects.
http://www.domain1.com/
http://www.domain2.com/
http://www.domain3.com/
Looking forward to hearing from you :)
With Thanks
Myname
কভার লেটারে কি কি বিষয় থাকতে হয় তা নিচের লেটারে দেখানো হল
- Introduction (includes salutation/greetings, name “I am Monir”, title “a freelance web designer”, country “from the Bangladesh” and brief work history “I’ve been working as a web designer for so and so years, creating and designing websites for various so and so companies…”). If the client was the one who invited me to apply for the position, I always begin my cover letter by thanking him/her for considering me for an interview.
- A brief summary of the job description. This is important because it shows that you have actually read and understood the job description.
- Skills. Describe your related skills.
- Availability, schedule and other work-related details. Most of the questions/items raised in the job posting or in the message sent by clients are about skills and competencies, availability and rate, so make sure you cover them in 3 and 4.
- End note (“Thank you”, “Looking forward to hear from you again”, etc) and signature.
কভার লেটার সম্পর্কে আরও জানতে আপনি এই পোস্টটি দেখে নিতে পারেন।
নতুনদের কাজ পাওয়ার কিছু স্পেশাল টিপস:
১) প্রথমদিকে খুবই কম বজেটে বিড করুন এবং টাকার দিকে গুরুত্ব না দিয়ে রেটিং এবং ফিডব্যাকের প্রতি গুরুত্ব দিন।
২) যে প্রজেক্টে বিড করবেন তা ভালকরে বুঝে নিন । কোন একটি রিক্যেয়ারমেন্ট না পারলে কাজ না নেওয়াই ভাল।
৩) যে প্রজেক্টে বিড করবেন সে প্রজেক্টের ক্লায়েন্ট সম্পর্কে অন্য কন্টাক্টররা কি ফিডব্যক দিয়েছে এবং তার পেমেন্ট পদ্ধতি ভেরিফাইড আছে কিনা দেখে নিন।
৪) আপনার কাজের ব্যাপারে ১০০% সৎ থাকুন।
৫) সাধারনত এই এশিয়ান সাবকন্টিনেন্টের (ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া) ক্লায়েন্টদের প্রজেক্টে বুঝেশুনে বিড করুন, তারা অনেক সময়ই কথা দিয়ে কথা রাখে না। আপনি নিশ্চিন্তে আমেরিকান, কানাডিয়ান, ইউরোপিয়ান, অষ্টেলিয়ান ক্লায়েন্টদের প্রজেক্টে বিড করতে পারেন।
৬) নতুন কাজে বেশি বিড করুন। একটা নতুন জব পোস্ট হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিড করতে পারলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশিরভাগ সময় ক্লায়েন্ট প্রথম কয়েকজনের মধ্যেই কাউকে ইন্টারভিউতে ডাকে।
৭) সুন্দর, সাধারণ এবং সংক্ষিপ্ত কভার লেটার লিখুন। ক্লায়েন্টের চাহিদাগুলো ভালোভাবে পড়ুন এবং রিক্রয়ারমেন্ট অনুসারে কভার লেটার লিখতে চেষ্টা করুন। কেন আপনি এই কাজের উপযোগী, কেন আপনাকে ক্লায়েন্ট নিয়োগ করবে সে কথা পরিষ্কার করে লিখুন। আগের যদি কোন অভিজ্ঞতা বা কাজের নমুনা থাকে তাহলে তার লিংক দিন কভার লেটারে। ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যম ব্যাবহার করবেন না।
৮) নতুনরা ৫০ ডলারের কাজের জন্য ১০ ডলারের মধ্যে বিড করুন । কেন কম বিড করেছেন সেটা কাজদাতাকে কভার লেটারে লিখুন। বলুন- আপনি ওডেস্কে নতুন। আপনি অনেক কাজ জানেন এবং অভিজ্ঞ। কিন্তু যেহেতু নতুন তাই এই মুহূর্তে আপনার টাকার চেয়ে ভালো কিছু ফিডব্যাক দরকার। তাই কম টাকা বিড করেছেন। দেখবেন সহজেই ইন্টারভিউতে ডাক পাবেন, যার অর্থ হচ্ছে ক্লায়েন্ট আপনার কাছে আরও কিছু জানতে চাচ্ছে। যা জানতে চাচ্ছে তা পরিষ্কার জবাব দিন। বাড়তি কথা বলবেন না। নিজের কাছে নিজে সৎ থাকবেন। এবং বলবেন- আপনি পরিশ্রমী, অভিজ্ঞ এবং সৎ।
৯) বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে বিড করুন। এই সময়ে ওডেস্কে সবচেয়ে বেশি জব পোস্ট হয় এবং বিডকারীর সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। এই সময়ে বিড করলে ইন্টারভিউতে দ্রুত ডাক পাওয়া যায়।
১০) প্রতিদিন বুঝে কমপক্ষে দুটি জবে বিড করুন। নতুনদের অনেক বেশী বিড করতে হবে, যত বেশী জবে বিড করবেন কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশী থাকবে। বিষয়টি এমন নয় যে আপনি নতুন, আপনাকে ২০-২৫টি জবে বিড করেই জব পেয়ে যাবেন। আপনি নতুন হিসেবে ধরে নিতে পারেন কমপক্ষে ২০০টি জব বুঝে বিড করার পর প্রথম কাজটি পাবেন তবে প্রথম কয়েকটি বিড করেয় কাজটি পেয়ে যেতে পারেন।
মূল কথা হচ্ছে, ওডেস্ক বা অন্য যেকোন মার্কেটপ্লেসে যদি সফলতার সাথে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে যেকোন একটি বিয়য়ে ভালভাবে দক্ষ হোন। সেটি হতে পারে সফ্টওয়্যার ডেভলাপমেন্ট, ওয়েব ডেভলাপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, সার্স ইন্জিন অপটিমাইজেশন, ডাটা এন্ট্রি বা সশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং । তারপর আপনার পছন্দের মার্কেটপ্লেসে একটি একাউন্ট খুলুন এবং আপনার প্রোফাইল শক্তিশালী করুন, তারপর নির্দিষ্ট বিয়য়ের জবগুলোতে ভালভাবে বুঝে বিড করুন এবং কভার লেটারের মাধ্যমে ক্লায়েন্টকে বুঝান যে কাজটায় আপনি দক্ষ। তাহলে সাফল্য পেতে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
১ম পর্বের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
লেখক - নাজমুল হক
অক&
১৮
টিউটরিয়ালের দ্বিতীয় পর্বে অপনাদের স্বাগতম জানাচ্ছি । গত পর্বে আমরা ওডেস্কে কাজ পাওয়ার জন্য প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের কিছু বিষয় আলোচনা করেছিলাম। আজ বাকিটুকু দেখাচ্ছি
Fill up My Contractor Profile:
মাই কন্ট্রাক্টর প্রোফাইলে নয়টি সেকশন রয়েছে, এগুলো হচ্ছে My Account Summary, My Public Profile, Categories, Skills, Emplacement History, Education, Portfolio Project, Certifications, Other Experiences
মাই কন্ট্রাক্টর প্রোফাইল শক্তিশালী হলে কাজ পেতে সুবিধা হয়। প্রথমদিকে বায়াররা কন্ট্রাক্টর প্রোফাইল এবং বিড এমাউন্ট দেখেই কাজ দিয়ে থাকে।
১) My Account Summary পরিচিতি :
১.১) Title: টাইটেল হিসেবে আপনি ওয়েব ডেভলাপমেন্টের যে বিষয়গুলো পারেন সেগুলো দিতে পারেন অথবা নিচের মতো একটি ট্যাগলাইন দিতে পারেন।
Title: PSD to XHTML, CSS, JAVASCRIPT, JQUIRY, PHP, MYSQL, JOOMLA, WORDPRESS, MAGENTO.
অথবা,
Title: Creative & professional solution for web development
১.২) Portrait: এখানে আপনার একটি সুন্দর ছবি দিন।
১.৩) Personal E-mail: আপনার ইমেইল এ্যাড্রেস দিন।
১.৪) Hourly Pay rate: আপনার ঘন্টা হিসেবে কাজের মূল্য লিখুন। নতুনরা $3 থেকে $5 দিলে ভাল হয়, পরবর্তীতে আপনি অনেকগুলো কাজ কমপ্লিট করার পর Hourly Rate বাড়িয়ে দিতে পারেন।
১.৫) oDesk Ready: ওডেস্কে কাজ করতে হলে একটি রেডিনেস টেস্ট দিতে হয়। এখানে একটি রেডিনেস টেস্ট লিংক আছে, টেস্টটি দিয়ে দিন। টেস্ট শুরু করার পূর্বে টেস্টের সাইটের নিয়মকানুনগুলো ভাল করে পড়ে নিন। তাহলে ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্রে খুব উপকারে আসবে। আর পড়ার সময় না থাকলে ওডেস্কে রেডিনেস টেস্টের প্রশ্নের উওর পাবেন এই লিংকে। তবে পরে সাইটের নিয়মকানুনগুলো সময় নিয়ে অবশ্যই জেনে নিন।
১.৬) Profile Completeness: আপনার বতর্মান প্রোফাইল কমপ্লিটনেস কত % আছে তা এখানে দেখাবে। এবং প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের পাশে একটি লিংক থাকে যা ফলো করলে পর্যায়ক্রমে আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস বাড়বে।
১.৭) Job Application Quota: এখানে আপনি প্রতি সপ্তাহে কয়টি কাজে এপ্লিকেশন করতে পারবেন তা দেখাবে। প্রোফাইল কমপ্লিটনেস বাড়ার সাথে সাথে জব এপ্লিকেশন কোটা বাড়তে থাকে।
২) My Public Profile পরিচিতি :
২.১) Profile Access: আপনি আপনার প্রফাইল পাবলিক না প্রাইভেট রাখতে চান এখানে তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। প্রোফাইল একসেস পাবলিক রাখলে সবাই আপনার প্রফাইল দেখতে পাবে আর প্রাইভেট রাখলে শুধু বায়ার আপনার প্রোফাইল দেখতে পাবে। আমার পরামর্শ হচ্ছে প্রোফাইল পাবলিক রাখুন, এতে সার্চ ইঞ্জিন এটি খুজে পাবে।
২.২) Display Name: আপনার নামের কোন অংশটুকু দেখাবে এখানে তা বলে দেওয়া যায়।
২.৩) Primary Role: আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী এখানে আপনার Primary role define করতে পারেন। যেমন programmer/developer, Data Entry Professional, Technical writer ইত্যাদি উল্লেখ করে দিতে পারেন।
২.৪) Title: এটি পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে ১.১ এ দেখুন।
২.৫) Weekly Availability: আপনি সপ্তায় কত ঘন্টা কাজ করতে পারবেন এটি উল্লেখ করে দিতে পারেন। যেমন- আপনি যদি দিনে গড়ে ৩ ঘন্টা ওডেস্কে কাজের জন্য ফ্রি থাকেন তাহলে ৩ x ৭ = ২১ ঘন্টা দিয়ে দিতে পারেন।
২.৬) Years of Experience: সংশ্লিষ্ট কাজে আপনার কত বছরের অভিজ্ঞতা আছে তা এখানে উল্লেখ করুন। অভিজ্ঞতা ৩ মাসের থাকলেও কমপক্ষে দুই বছরের উল্লেখ করুন।
২.৭) English: এখানে আপনার English Proficiency Level উল্লেখ করুন। আপনি যদি মোটামুটি ইংরেজী বুঝতে এবং লেখতে পারেন তাহলেও এখানে ৫ দিয়ে দিন।
২.৮) Objective: এখানে আপনার ফ্র্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্যসমূহ লিখতে পারেন।
৩) Categories পরিচিতি :
এখানে আপনার ফ্র্রিল্যান্সিং কাজের ধরন নির্ধারন করে দিন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ যেধরনের কাজ করতে চান এখানে তার ক্যাটাগরি এবং সাব-ক্যাটাগরি নির্ধারন করে দিন।
৪) Skills পরিচিতি :
আপনার নির্দিষ্ট বিষয়ে কি কি দক্ষতা আছে তা নির্ধারণ করে দিন। এখানে আপনার তৈরি করা কোন প্রজেক্ট উল্লেখ করে দিতে পারেন।
৫) Employment History পরিচিতি :
আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানে পূর্বে কাজ করে থাকেন তাহলে এখানে তার বর্ণনা দিতে পারেন।
৬) Education পরিচিতি :
এখানে আপনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তথ্য দিন।
৭) Portfolio Projects পরিচিতি :
ওডেস্কে কাজ পেতে হলে এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Portfolio হচ্ছে অপনার পূর্বের করা কাজগুলো। নতুন যারা ওয়েব ডেভলাপমেন্টের কাজ করতে চান এবং যাদের পূর্বের কোন কাজ নেই তারা ডেমো প্রজেক্ট বানিয়ে সার্ভারে রেখে দিন। এটি এখানে যোগ করুন আর বিড করার কভার লেটারে লিংক দিয়ে দিন। যেমন- আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হোন তাহলে একটি সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং এটি সার্ভারে রেখে দিন http://www.yourdomain.com/yourproject আর আপনি যদি একজন ওয়েব প্রোগ্রামার হন তাহলে একটি ভাল ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করুন এবং এটি সার্ভারে রেখে দিন। আপনার যদি নিজের কোন ওয়েবসাইট থাকে তাহলে প্রজেক্টগুলো আপনার ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন এ রেখে দিতে পারেন অথবা আপনার পরিচিতজনের ওয়েবসাইট থাকলে সেটির সাবডোমেইন এ আপনার প্রজেক্টগুলো রেখে দিতে পারেন।
৮) Certifications পরিচিতি :
আপনার কোন প্রফেশনাল সাটিফিকেট থাকলে এটি এখানে উল্লেখ করতে পারেন ।এটিও কাজ পেতে সাহায্য করে।
Brainbench Certifications নিতে পরেন আপনে এখান থেকে।
৯) Others Experiences পরিচিতি:
আপনার অন্যান্য সব অভিজ্ঞতা আপনি এখানে বর্ণনা করতে পারেন। যেমন আপনি যদি ওয়েব প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স খুব ভাল পারেন তাহলে এটি এখানে উল্লেখ করুন।
আজ এপর্যন্তই, আমরা আগামী পর্বে My Tests এবং Cover Letter নিয়ে আলোচনা করব।
লেখক - নাজমুল হক
Fill up My Contractor Profile:
মাই কন্ট্রাক্টর প্রোফাইলে নয়টি সেকশন রয়েছে, এগুলো হচ্ছে My Account Summary, My Public Profile, Categories, Skills, Emplacement History, Education, Portfolio Project, Certifications, Other Experiences
মাই কন্ট্রাক্টর প্রোফাইল শক্তিশালী হলে কাজ পেতে সুবিধা হয়। প্রথমদিকে বায়াররা কন্ট্রাক্টর প্রোফাইল এবং বিড এমাউন্ট দেখেই কাজ দিয়ে থাকে।
১) My Account Summary পরিচিতি :
১.১) Title: টাইটেল হিসেবে আপনি ওয়েব ডেভলাপমেন্টের যে বিষয়গুলো পারেন সেগুলো দিতে পারেন অথবা নিচের মতো একটি ট্যাগলাইন দিতে পারেন।
Title: PSD to XHTML, CSS, JAVASCRIPT, JQUIRY, PHP, MYSQL, JOOMLA, WORDPRESS, MAGENTO.
অথবা,
Title: Creative & professional solution for web development
১.২) Portrait: এখানে আপনার একটি সুন্দর ছবি দিন।
১.৩) Personal E-mail: আপনার ইমেইল এ্যাড্রেস দিন।
১.৪) Hourly Pay rate: আপনার ঘন্টা হিসেবে কাজের মূল্য লিখুন। নতুনরা $3 থেকে $5 দিলে ভাল হয়, পরবর্তীতে আপনি অনেকগুলো কাজ কমপ্লিট করার পর Hourly Rate বাড়িয়ে দিতে পারেন।
১.৫) oDesk Ready: ওডেস্কে কাজ করতে হলে একটি রেডিনেস টেস্ট দিতে হয়। এখানে একটি রেডিনেস টেস্ট লিংক আছে, টেস্টটি দিয়ে দিন। টেস্ট শুরু করার পূর্বে টেস্টের সাইটের নিয়মকানুনগুলো ভাল করে পড়ে নিন। তাহলে ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্রে খুব উপকারে আসবে। আর পড়ার সময় না থাকলে ওডেস্কে রেডিনেস টেস্টের প্রশ্নের উওর পাবেন এই লিংকে। তবে পরে সাইটের নিয়মকানুনগুলো সময় নিয়ে অবশ্যই জেনে নিন।
১.৬) Profile Completeness: আপনার বতর্মান প্রোফাইল কমপ্লিটনেস কত % আছে তা এখানে দেখাবে। এবং প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের পাশে একটি লিংক থাকে যা ফলো করলে পর্যায়ক্রমে আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস বাড়বে।
১.৭) Job Application Quota: এখানে আপনি প্রতি সপ্তাহে কয়টি কাজে এপ্লিকেশন করতে পারবেন তা দেখাবে। প্রোফাইল কমপ্লিটনেস বাড়ার সাথে সাথে জব এপ্লিকেশন কোটা বাড়তে থাকে।
২) My Public Profile পরিচিতি :
২.১) Profile Access: আপনি আপনার প্রফাইল পাবলিক না প্রাইভেট রাখতে চান এখানে তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। প্রোফাইল একসেস পাবলিক রাখলে সবাই আপনার প্রফাইল দেখতে পাবে আর প্রাইভেট রাখলে শুধু বায়ার আপনার প্রোফাইল দেখতে পাবে। আমার পরামর্শ হচ্ছে প্রোফাইল পাবলিক রাখুন, এতে সার্চ ইঞ্জিন এটি খুজে পাবে।
২.২) Display Name: আপনার নামের কোন অংশটুকু দেখাবে এখানে তা বলে দেওয়া যায়।
২.৩) Primary Role: আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী এখানে আপনার Primary role define করতে পারেন। যেমন programmer/developer, Data Entry Professional, Technical writer ইত্যাদি উল্লেখ করে দিতে পারেন।
২.৪) Title: এটি পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে ১.১ এ দেখুন।
২.৫) Weekly Availability: আপনি সপ্তায় কত ঘন্টা কাজ করতে পারবেন এটি উল্লেখ করে দিতে পারেন। যেমন- আপনি যদি দিনে গড়ে ৩ ঘন্টা ওডেস্কে কাজের জন্য ফ্রি থাকেন তাহলে ৩ x ৭ = ২১ ঘন্টা দিয়ে দিতে পারেন।
২.৬) Years of Experience: সংশ্লিষ্ট কাজে আপনার কত বছরের অভিজ্ঞতা আছে তা এখানে উল্লেখ করুন। অভিজ্ঞতা ৩ মাসের থাকলেও কমপক্ষে দুই বছরের উল্লেখ করুন।
২.৭) English: এখানে আপনার English Proficiency Level উল্লেখ করুন। আপনি যদি মোটামুটি ইংরেজী বুঝতে এবং লেখতে পারেন তাহলেও এখানে ৫ দিয়ে দিন।
২.৮) Objective: এখানে আপনার ফ্র্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্যসমূহ লিখতে পারেন।
৩) Categories পরিচিতি :
এখানে আপনার ফ্র্রিল্যান্সিং কাজের ধরন নির্ধারন করে দিন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ যেধরনের কাজ করতে চান এখানে তার ক্যাটাগরি এবং সাব-ক্যাটাগরি নির্ধারন করে দিন।
৪) Skills পরিচিতি :
আপনার নির্দিষ্ট বিষয়ে কি কি দক্ষতা আছে তা নির্ধারণ করে দিন। এখানে আপনার তৈরি করা কোন প্রজেক্ট উল্লেখ করে দিতে পারেন।
৫) Employment History পরিচিতি :
আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানে পূর্বে কাজ করে থাকেন তাহলে এখানে তার বর্ণনা দিতে পারেন।
৬) Education পরিচিতি :
এখানে আপনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তথ্য দিন।
৭) Portfolio Projects পরিচিতি :
ওডেস্কে কাজ পেতে হলে এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Portfolio হচ্ছে অপনার পূর্বের করা কাজগুলো। নতুন যারা ওয়েব ডেভলাপমেন্টের কাজ করতে চান এবং যাদের পূর্বের কোন কাজ নেই তারা ডেমো প্রজেক্ট বানিয়ে সার্ভারে রেখে দিন। এটি এখানে যোগ করুন আর বিড করার কভার লেটারে লিংক দিয়ে দিন। যেমন- আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হোন তাহলে একটি সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং এটি সার্ভারে রেখে দিন http://www.yourdomain.com/yourproject আর আপনি যদি একজন ওয়েব প্রোগ্রামার হন তাহলে একটি ভাল ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করুন এবং এটি সার্ভারে রেখে দিন। আপনার যদি নিজের কোন ওয়েবসাইট থাকে তাহলে প্রজেক্টগুলো আপনার ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন এ রেখে দিতে পারেন অথবা আপনার পরিচিতজনের ওয়েবসাইট থাকলে সেটির সাবডোমেইন এ আপনার প্রজেক্টগুলো রেখে দিতে পারেন।
৮) Certifications পরিচিতি :
আপনার কোন প্রফেশনাল সাটিফিকেট থাকলে এটি এখানে উল্লেখ করতে পারেন ।এটিও কাজ পেতে সাহায্য করে।
Brainbench Certifications নিতে পরেন আপনে এখান থেকে।
৯) Others Experiences পরিচিতি:
আপনার অন্যান্য সব অভিজ্ঞতা আপনি এখানে বর্ণনা করতে পারেন। যেমন আপনি যদি ওয়েব প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স খুব ভাল পারেন তাহলে এটি এখানে উল্লেখ করুন।
আজ এপর্যন্তই, আমরা আগামী পর্বে My Tests এবং Cover Letter নিয়ে আলোচনা করব।
লেখক - নাজমুল হক
অক&
০৮
আমি মূলত একজন ওয়েব ডেভলাপার। বর্তমানে সিলহোস্ট আইটি লিমিটেডে কাজ করছি। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার পাশাপাশি ওডেস্কে
ফ্রিল্যান্সিং করছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়ার
অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আমি ধারাবাহিকভাবে কিছু কাজ পাওয়ার পন্থা বর্ণনা করছি।
যারা ওডেস্কে ওয়েব ডেভলাপমেন্টের কাজ পেতে চান তারা এই নির্দেশনাগুলো
অনুসরণ করে দেখতে পারেন।
আমি ধরে নিচ্ছি আপনার একটি ওডেস্ক একাউন্ট আছে । প্রথমে আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ওডেস্কে লগইন করুন। লগইন করার পর এরকম একটি হোমপেজ আসবে:

এখন আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে আপনার একাউন্টকে ১০০% কমপ্লিট করা । আমার পরামর্শ হচ্ছে প্রথমে আপনার প্রোফাইলকে ১০০% করুন তারপর আপনি যে ধরনের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজ করতে চান সে কাজগুলো ভালকরে বুঝে বিড করুন । আমি প্রথমেই দেখাচ্ছি কিভাবে আপনার প্রোফাইলকে ১০০% কমপ্লিট করবেন । তারপর আপনাদের কিছু বুলেট টিপস দিব যেগুলো অনুসরণ করলে ইনশাল্লাহ অপনারা ওডেস্কে কাজ পেয়ে যাবেন।
ওডেস্ক প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট করার উপায়:
আমার পরামর্শ হছে প্রথমে আপনার প্রোফাইলকে ১০০% কমপ্লিট করুন। প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট হলে নিচের ছবির মত তথ্য দেখতে পাবেন -
ওডেস্ক একাউন্ট খুলার পরেই প্রোফাইলকে ১০০% কমপ্লিট করাটা জরুরী । যদিও আমি দেখেছি যে অনেক expert developer রা প্রোফাইলকে ১০০% কমপ্লিট না করে কোন ওডেস্ক টেস্ট না দিয়েই কাজ পেয়ে যান। তাদের কথা আলাদা, যারা মোটামুটি কাজ পারেন তাদের জন্যই এই ব্যবস্থা ।
তো আসুন প্রোফাইলকে ১০০% করার প্রক্রিয়ায়। অমি ক্রমানুসারে বিষয়টি দেখাচ্ছি:
১) লগিন করার পর হেমপেজ এর ডান দিকে ইউজারনেম এর Account & Profile settings এ ক্লিক করুন
২) এবার আপনার Security Question এর উওর দিন
৩) এখন Profile & Settings Option আসবে -

৪) চিত্রে দেখুন বামদিকে Profile & Settings মেনু রয়েছে এবং User Info show হচ্ছে । এখান থেকে User Info, My Contractor Profile, My Test মেনুর অপশনগুলো ভালভাবে ফিলআপ করলেই হবে। তাহলেই আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস ০% থেকে বাড়তে থাকবে।
৫) Fill up User Info: ইউজার ইনফোতে দুটি সেকশন রয়েছে, একটি হচ্ছে Your Account info আন্যটি Your Location Info
৬) Your Account info পরিচিতি: এখানে প্রথমে রয়েছে User ID, First Name, Last Name এটি আপনি যখন প্রথম একাউন্ট খুলেছিলেন তখনকার ইনফরমেশন।
৭) তারপর রয়েছে Verification Status, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ, এটিও কাজ পেতে সাহায্য করে। এটি ভেরিফাই করতে verify your identity লিংকটিতে ক্লিক করুন। এখানে তিনটি স্টেপ রয়েছে, প্রথমে আপনার একটি ক্লিয়ার ফটো দিতে হবে, দ্বিতীয় স্টেপে আপনার পাসপোর্ট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটো এবং তৃতীয় স্টেপে আপনার ব্যংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে । তখন ওডেস্ক আপনাকে কিছুদিনের মধ্যে আইডি ভেরিফাই করে দিবে।
৮) তারপর রয়েছে Odesk Email, Personal Email এবং Security Email
৯) তারপর রয়েছে Portrait এখানে আপনি আপনার ফটো দিবেন। ফটো দেোয়ার সাথে সাথেই আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস ১০% বাড়বে।
১০) Your Location Info পরিচিতি: এখানে আপনি অপনার Timezone, Address, City, Country, Postal Code / Zip, Phone নাম্বার ইত্যাদি দিবেন।
আজ এপর্যন্তই, আমরা আগামী পর্বে এই পরবর্তী দুটি মেনুর Details আলোচনা করে ১০০% প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের দিকে এগিয়ে যাব এবং তারপর স্পেশাল কিছু টিপস দেয়া যাবে।
পরবর্তী লেখা:
[অতিথি পোস্ট] ওডেস্কে আমি যেভাবে কাজ পাই - ২য় পর্ব
লেখক - নাজমুল হক
আমি ধরে নিচ্ছি আপনার একটি ওডেস্ক একাউন্ট আছে । প্রথমে আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ওডেস্কে লগইন করুন। লগইন করার পর এরকম একটি হোমপেজ আসবে:

এখন আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে আপনার একাউন্টকে ১০০% কমপ্লিট করা । আমার পরামর্শ হচ্ছে প্রথমে আপনার প্রোফাইলকে ১০০% করুন তারপর আপনি যে ধরনের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজ করতে চান সে কাজগুলো ভালকরে বুঝে বিড করুন । আমি প্রথমেই দেখাচ্ছি কিভাবে আপনার প্রোফাইলকে ১০০% কমপ্লিট করবেন । তারপর আপনাদের কিছু বুলেট টিপস দিব যেগুলো অনুসরণ করলে ইনশাল্লাহ অপনারা ওডেস্কে কাজ পেয়ে যাবেন।
ওডেস্ক প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট করার উপায়:
আমার পরামর্শ হছে প্রথমে আপনার প্রোফাইলকে ১০০% কমপ্লিট করুন। প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট হলে নিচের ছবির মত তথ্য দেখতে পাবেন -

ওডেস্ক একাউন্ট খুলার পরেই প্রোফাইলকে ১০০% কমপ্লিট করাটা জরুরী । যদিও আমি দেখেছি যে অনেক expert developer রা প্রোফাইলকে ১০০% কমপ্লিট না করে কোন ওডেস্ক টেস্ট না দিয়েই কাজ পেয়ে যান। তাদের কথা আলাদা, যারা মোটামুটি কাজ পারেন তাদের জন্যই এই ব্যবস্থা ।
তো আসুন প্রোফাইলকে ১০০% করার প্রক্রিয়ায়। অমি ক্রমানুসারে বিষয়টি দেখাচ্ছি:
১) লগিন করার পর হেমপেজ এর ডান দিকে ইউজারনেম এর Account & Profile settings এ ক্লিক করুন

৩) এখন Profile & Settings Option আসবে -

৪) চিত্রে দেখুন বামদিকে Profile & Settings মেনু রয়েছে এবং User Info show হচ্ছে । এখান থেকে User Info, My Contractor Profile, My Test মেনুর অপশনগুলো ভালভাবে ফিলআপ করলেই হবে। তাহলেই আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস ০% থেকে বাড়তে থাকবে।
৫) Fill up User Info: ইউজার ইনফোতে দুটি সেকশন রয়েছে, একটি হচ্ছে Your Account info আন্যটি Your Location Info
৬) Your Account info পরিচিতি: এখানে প্রথমে রয়েছে User ID, First Name, Last Name এটি আপনি যখন প্রথম একাউন্ট খুলেছিলেন তখনকার ইনফরমেশন।
৭) তারপর রয়েছে Verification Status, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ, এটিও কাজ পেতে সাহায্য করে। এটি ভেরিফাই করতে verify your identity লিংকটিতে ক্লিক করুন। এখানে তিনটি স্টেপ রয়েছে, প্রথমে আপনার একটি ক্লিয়ার ফটো দিতে হবে, দ্বিতীয় স্টেপে আপনার পাসপোর্ট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটো এবং তৃতীয় স্টেপে আপনার ব্যংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে । তখন ওডেস্ক আপনাকে কিছুদিনের মধ্যে আইডি ভেরিফাই করে দিবে।
৮) তারপর রয়েছে Odesk Email, Personal Email এবং Security Email
৯) তারপর রয়েছে Portrait এখানে আপনি আপনার ফটো দিবেন। ফটো দেোয়ার সাথে সাথেই আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস ১০% বাড়বে।
১০) Your Location Info পরিচিতি: এখানে আপনি অপনার Timezone, Address, City, Country, Postal Code / Zip, Phone নাম্বার ইত্যাদি দিবেন।
আজ এপর্যন্তই, আমরা আগামী পর্বে এই পরবর্তী দুটি মেনুর Details আলোচনা করে ১০০% প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের দিকে এগিয়ে যাব এবং তারপর স্পেশাল কিছু টিপস দেয়া যাবে।
পরবর্তী লেখা:
[অতিথি পোস্ট] ওডেস্কে আমি যেভাবে কাজ পাই - ২য় পর্ব
লেখক - নাজমুল হক
নভ&
১১

অডিওজাঙ্গল হচ্ছে ইন্টারনেটে অডিও কেনাবেচার একটি মার্কেটপ্লেস। এটি তৈরি করেছে এনভাটো (Envato) নামের একটি অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, যা নিয়ে এর আগে “কম্পিউটার জগৎ” ম্যাগাজিনে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এনভাটোর অন্যান্য সাইটের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ThemeForest.net, GraphicRiver.net এবং ActiveDen.net। বর্তমানে এনভাটোতে মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা হচ্ছে ৫ লাখের উপর এবং মোট আইটেমের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ৬০ হাজার। তারমধ্যে শুধুমাত্র অডিওজাঙ্গলে ২০ হাজারের উপর আইটেম / অডিও রয়েছে। এইসকল অডিওগুলো সাধারণত কোন ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার বা কোন গেম এর ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কতগুলো আবার সিনেমার টাইটেল মিউজিক হিসেবে বা কোন প্রতিষ্ঠানের থিম মিউজিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলে অডিওজাঙ্গলের অডিওগুলোর রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এনভাটোর যে কোন আইটেম প্রতিবার বিক্রি হলে এর ডেভেলপার বা Author কে ৫০% থেকে ৭০% পর্যন্ত অর্থ প্রদান করা হয়।

এনভাটোর যে কোন একটি সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে এর সকল সাইটের মেম্বার হওয়া যায়। রেজিষ্ট্রেশন করার পর অডিও বিক্রি করার পূর্বে সাইটের নিয়মকানুন ভালভাবে পড়ে নিতে হবে এবং একটি কুইজে অংশগ্রহণ করতে হবে। কুইজের প্রশ্নগুলো অত্যন্ত সহজ হয়ে থাকে। অডিওজাঙ্গল সাইটে ৫ টি মূল বিভাগে অডিও আপলোড করে বিক্রি করা যায়, এগুলো হল -
১) Music:
এই বিভাগে কয়েক মিনিটব্যাপী শুধু মিউজিক অথবা ভোকালযুক্ত মিউজিক আপলোড করা যায়। বলা বাহুল্য, মিউজিকের গুণগত মান অবশ্যই উন্নত এবং প্রফেশনাল হতে হবে, অন্যথায় সাইটের কর্তৃপক্ষ এটিকে গ্রহণ করবে না। ভোকালযুক্ত মিউজিক অবশ্যই ইংরেজীতে হতে হবে। এক্ষেত্রে গায়ক বা গায়িকার পরিচিতি যুক্ত করতে হবে এবং সাইটে বিক্রি করতে গায়ক বা গায়িকা থেকে যথাযথ অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা তা জানাতে হবে। মিউজিকগুলো কোন জনপ্রিয় বা কপিরাইটযুক্ত অডিও এর উপর ভিত্তি করে বা মিল রেখে তৈরি করা যাবে না। অথবা কোন ফ্রি লুপ বা স্যাম্পল দিয়ে তৈরি করা যাবে না। সকল অডিও 44.1 kHz এবং 16-Bit স্টেরিও হতে হবে। WAV অথবা MP3 ফরমেটে ফাইল আপলোড করা যাবে। MP3 এর ক্ষেত্রে 320 kbps বিট রেট হতে হবে। ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১০ মিনিট হতে হবে। মূল অডিও এর সাথে একটি প্রিভিউ অডিও (MP3 ফরমেটে) আপলোড করতে হবে। প্রিভিউ অডিওটি ক্রেতা কেনার পূর্বে শুনতে পারবে, তবে এর সাথে সাইট কর্তৃক প্রদত্ত একটি ওয়ারমার্ক সাউন্ড ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে যুক্ত করতে হবে।
২) Music Packs:
এই ধরনের বিভাগে এক সাথে সর্বোচ্চ ১০টি মিউজিক ট্র্যাক যুক্ত করে বিক্রি করা যাবে। “মিউজিক” বিভাগে আপনার আপলোড করা কয়েকটি অডিও নিয়ে “মিউজিক প্যাক” তৈরি করতে পারবেন। তবে একটি ট্র্যাককে একাধিক প্যাকে যুক্ত করতে পারবেন না। সবগুলো ট্র্যাকের মূল দৈর্ঘ্য ৩০ মিনিটের বেশি হতে পারবে না। প্রিভিউ অডিওতে সবগুলো ট্র্যাকের অংশবিশেষ যুক্ত করতে হবে।
৩) Sound:
এই বিভাগে গেমের সাউন্ড, কার্টুন সাউন্ড, ইন্টারফেস সাউন্ড, বাটন এবং মেনু সাউন্ড, প্রাকৃতিক সাউন্ড ইত্যাদি তৈরি করে আপলোড করা যায়। সাউন্ডগুলো সাধারণত কয়েক সেকেন্ডেরে একটি অডিও অথবা কয়েকটি সাউন্ডের একটি প্যাক হতে পারে। প্যাকে সর্বোচ্চ ৫০ টি অডিও থাকতে পারে এবং সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের হতে হবে।
৪) Source Files:
এই বিভাগে সাউন্ডের কেবলমাত্র WAV বা MP3 ফাইল আপলোড না করে, যে সফটওয়্যার দিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে তার সোর্স ফাইল বিক্রি করা যায়। উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্রেতা এটিকে পরবর্তীতে যাতে নিজের ইচ্ছেমত পরিবর্তন করতে পারে সেই সুযোগ দেয়া। যে সকল সফটওয়্যারের সোর্স ফাইল বিক্রি করা যায় এগুলো হল - Cubase, FL Studio, Logic Pro, Pro Tools, Reason এবং অন্যান্য।
৫) Logo & Idents:
এই বিভাগে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতিমূলক মিউজিক হিসেবে অডিও বিক্রি করা যায়। এক্ষেত্রে ৩০ সেকেন্ডের একটি ট্র্যাক অথবা সর্বোচ্চ ১০ টি ট্র্যাকের একটি প্যাক তৈরি করে আপলোড করা যায়।
প্রফেশনাল মিউজিক তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল অডিও ওয়ার্কস্টেশন বা DAW পাওয়া যায়। DAW বলতে শুধুমাত্র কম্পিউটারের সফটওয়্যারকেই বোঝায় না, এটি হচ্ছে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, কম্পিউটার সফটওয়্যার, অডিও ইন্টারফেস এবং পেরিফেরালের একটি সমন্বিতরূপ। জনপ্রিয় কয়েকটি ডিজিটাল অডিও ওয়ার্কস্টেশন এপ্লিকেশন হচ্ছে - Ableton Live, ACID Pro, Ardour, Audition, Cubase, Digital Performer, FL Studio, Koblo, Logic Pro, Nuendo, Pro Tools, Reason, SONAR । এগুলোর কতগুলো বিনামূল্যে আর কতগুলো কিনে ব্যবহার করতে হয়।
শেখার জন্য Audiotuts+ নামে এনভাটোর একটি টিউটোরিয়াল ব্লগ সাইট রয়েছে (http://audio.tutsplus.com)। এই সাইটে অডিও তৈরির বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারের টিউটোরিয়াল রয়েছে। সাথে অডিও রেকর্ড, তৈরি এবং ট্র্যাক মিক্স করার বিভিন্ন ধরনের টেকনিক শেখানো হয়, যা দিয়ে একজন নতুন ব্যবহারকারী ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে উঠতে পারবে।
লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "নভেম্বর ২০১০" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
জ&#
১২

২০০১ সালে রেন্ট-এ-কোডার যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন তাদের মূল লক্ষ্য ছিল প্রোগ্রামার বা কোডারদের জন্য একটি মার্কেটপ্লেসের ব্যবস্থা করা। ২০১০ সালে এসে সাইটটি এখন আর কেবলমাত্র কোডারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা গ্রাফিক্স ডিজাইনার, লেখক, অনুবাদক, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এবং আরো অসংখ্য পেশাজীবিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। তাই আজ সেই সকল ফ্রিল্যান্সারদেরকে আর কোডার (Coder) না বলে ওয়ার্কার (Worker) হিসেবে অভিহিত করা হয়। ঠিক একইভাবে ক্রেতাদের (Buyer) নাম পরিবর্তন করে তাদেরকে এমপ্লয়ার (Employer) হিসেবে ডাকা হয়।

সাইটের নতুন ডিজাইনটি অত্যন্ত দৃষ্টিন্দন হয়েছে এবং তা ওয়েব ২.০ ধারা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। পূর্বে সকল লিংক যেখানে বাম দিকের কলামে ছিল সেগুলোকে উপরে Employers, Workers এবং Affiliates মেন্যুতে নিয়ে আসা হয়েছে। সাইটে নতুন ৭১ টি প্রজেক্টের বিভাগ যুক্ত করা হয়েছে। পছন্দের বিভাগের নতুন নতুন প্রজেক্ট দেখতে হলে Project Filter নামক একটি সেটিং ঠিক করে নিতে হবে। এজন্য লগইন করার পর উপরের মেন্যুতে এই ক্রম অনুযায়ী ক্লিক করতে হবে - Workers > My Account > My registration/settings > My filters। যাদের নতুন মেন্যুটি পছন্দ হয়নি তারা ইচ্ছে করলে পূর্বের মত একটি কলামে সকল লিংক দেখতে পারবেন। এজন্য Workers > My Account > Site layout > Move menu তে ক্লিক করতে হবে।
অনেকেই হয়ত জানেন না যে এই সাইটে oDesk বা অন্যন্য সাইটের মত ঘন্টা হিসেবে কাজের জন্য Pay-for-time নামক একটি আলাদা পেমেন্ট পদ্ধতি রয়েছে। নতুন সাইটে এই পদ্ধতিতেও অনেকগুলো পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার মধ্য উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এমপ্লয়ারদের কাছে পদ্ধতিটিকে আরো গুরুত্বপূর্ণভাবে উপস্থাপন করা, ওয়েবক্যামকে ঐচ্ছিক করা এবং আরো নানা পরিবর্তন। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সাইটে এই ধরনের কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
ঘন্টা হিসেবে কাজ করার জন্য AccuTimeCard নাম একটি টাইমকার্ড সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। সফটওয়্যারটি সাইটের যেকোন পৃষ্ঠার নিচে একটি লিংকের মাধ্যমে পাওয়া যায়। প্রজেক্ট চলাকালীন সময়ে এই সফটয়্যারটি চালু করে রাখতে হয় যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর ওয়ার্কারের ডেস্কটপের ছবি এমপ্লয়ারকে পাঠাতে থাকে। আরো নিশ্চয়তার জন্য সফটওয়্যারটি ওয়ার্কারের ওয়েবক্যাম থেকেও ছবি পাঠাতে পারে। Pay-for-time পদ্ধতিতে কাজের প্রক্রিয়া হচ্ছে নিম্নরূপ -
১) প্রথমে এমপ্লয়ার একজন ওয়ার্কারকে তার প্রজেক্টে কাজ করার জন্য নির্ধারণ করবে এবং প্রজেক্টের টাকা সাইটে জমা রাখবে, যা এস্ক্রো (Escrow) নামে পরিচিত।
২) কাজ শুরু করার পূর্বে ওয়ার্কার তার কম্পিউটারে টাইমকার্ড সফটওয়্যারটি চালু করবে, যাকে Punch in বলা হয়।

৩) সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর ওয়ার্কারের ওয়েবক্যামের ছবি এবং ডেস্কটপের স্ক্রীণশট এমপ্লয়ারকে পাঠাবে, ফলে ওই সময় ওয়ার্কার কোন কোন কাজ করেছে তা এমপ্লয়ার নিশ্চিতভাবে জানতে পারবে।

৪) কাজ চলাকালীন সময়ে এমপ্লয়ার এবং ওয়ার্কার উভয়েই কাজের সাপ্তাহিক এবং দৈনিক অবস্থা দেখতে পারবে।

৫) কাজ করার পূর্বে ওয়ার্কার যদি কখনও টাইমকার্ড চালু করতে ভুলে যায় তাহলে পরে একটি মেন্যুয়াল এন্ট্রি দেয়া যাবে। তবে এমপ্লয়ার ইচ্ছে করলে সেই সময়টি গ্রহণ নাও করতে পারে।
৬) এভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওয়ার্কার কাজ করতে পারবে। টাইমকার্ডে উল্লেখিত সময় শেষ হবার পর কাজ যাচাই করার জন্য এমপ্লয়ার ৩ দিন সময় পাবে। এই সময়ের মধ্যে কাজ যাচাই না করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রহণ হয়ে যাবে। এরপর এস্ক্রোতে জমা থাকা টাকা ওয়ার্কারের একাউন্টে চলে আসবে।
৭) এমপ্লয়ার যদি মনে করে ওয়ার্কার কাজ না করে শুধু শুধু সময় নষ্ট করেছে সেক্ষেত্রে সে সাইটের কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে পারবে, যা Arbitration নামে পরিচিত। সাইটের কর্তৃপক্ষ অভিযোগের সত্যতা পেলে এমপ্লয়ারকে টাকা ফেরত দিয়ে দিবে এবং ওয়ার্কারকে একটি বাজে রেটিং দিবে।
সাইট থেকে অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে একটি ছোট পরিবর্তন করা হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে Payoneer কর্তৃক ডেবিট মাস্টারকার্ড ব্যবহার করছেন, তাদেরকে নতুন সাইটের জন্য নতুন লোগো সম্বলিত একটি কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে। কার্ডটিতে রেন্ট-এ-কোডার শব্দের পরিবর্তে ভি-ওয়ার্কার ব্যবহার করা হয়েছে।

ভি-ওয়ার্কার সাইটের এই নতুন পরিবর্তনগুলো নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার উদ্দ্যোগ। তবে বিড করার পদ্ধতি, কাজ জমা দেবার পদ্ধতি, অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে তেমন কোন পরিবর্তন আনা হয় নি। সাইটের এই বিষয়গুলো নিয়ে এর আগে “কম্পিউটার জগৎ” এ “রেন্ট-এ-কোডার” শিরোনামে আলোচনা করা হয়েছে, যা এই লিংকে পাওয়া যাবে। ভি-ওয়ার্ক সাইটে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সাইটকে উন্নত করার কাজ চলছে এবং পর্যায়ক্রমে আরো ৫০০ টি নতুন পরিবর্তন আনা হবে।
লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "জুলাই ২০১০" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
জ&#
১২
মাইক্রোওয়ার্কারস নিয়ে ব্লগে এর আগেও একটি লেখা লিখেছিলাম। এবার "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের পাঠকদের জন্য আরেকটু বিস্তারিতভাবে সাইটটি নিয়ে বর্ণনা করলাম।
ডাটা এন্ট্রি কাজ যারা করেন তারা ভালভাবেই জানেন যে একটি ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া কতটা কঠিন। কম্পিউটারের সাধারণ ব্যবহার জানলেই এ ধরনের কাজ করা যায়। এজন্য প্রায় প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে এক একটি ডাটা এন্ট্রি প্রজেক্ট করতে শত শত আবেদন পড়ে। এদের মধ্য থেকে সুনির্দিষ্ট একজনকে বেছে নিতে ক্লায়েন্টদেরকে স্বীদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয়। প্রথম কাজ পেতে কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কিছুদিন বিড করার পর কাজ না পেয়ে শেষে ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহই হারিয়ে ফেলেন। আজকে যে ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব তাতে কাজ করার জন্য কোন বিড বা আবেদন করতে হয় না। অর্থাৎ ইচ্ছে করলে এই মূহুর্ত থেকে কাজ শুরু করে দেয়া যায়। আর কাজগুলোও অত্যন্ত সহজ। সাইটটি হচ্ছে মাইক্রোওয়ার্কারস (www.microworkers.com)।
প্রথম দর্শনেই সাইটটিকে সহজবোধ্য মনে হবে।
মাইক্রোওয়ার্কারস সাইটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই সাইটের কাজগুলো অত্যন্ত ছোট ছোট। এক
একটি কাজ করতে ৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। প্রতিটি কাজের মূল্য ০.১০ ডলার
থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১.৭৫ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাইটে প্রতিদিনই নতুন
নতুন কাজ আসে। এখানে একটি কাজ কেবলমাত্র একবারই করা যায়। মোট আয় ৯ ডলার
হলেই চেক, মানিবুকার্স, পেপাল এবং এলার্টপে সার্ভিসের মাধ্যমে উত্তোলন
যায়।
মাইক্রোওয়ার্কারস সাইটে একজন ফ্রিল্যান্সারকে Worker এবং এবং একজন ক্লায়েন্টকে Employer হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাইটে এই দুই ধরনের ব্যবহারকারী কিভাবে কাজ করে তা নিচের কার্টুনের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে-
Worker হিসেবে কাজ শুরু করার পূর্বে প্রথমে সাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর মেনু থেকে Available Jobs লিংকে ক্লিক করে সকল কাজগুলো দেখা যাবে। প্রতিটি কাজের শিরোনামের সাথে কয়েকটি তথ্য পাওয়া যায় - কাজের মূল্য (Payment), শতকরা কতজনের কাজ ক্লায়েন্ট গ্রহণ করেছে (Success Rate), কাজটি করতে আনুমানিক কত মিনিট লাগতে পারে (Time), কতজন এ পর্যন্ত কাজটি করছে (Done) ইত্যাদি। কোন একটি কাজের শিরোনামের উপর ক্লিক করে সেই কাজের বিস্তারিত আরো তথ্য জানা যাবে। এর মধ্যে "What is expected from workers?" অংশ থেকে কাজের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যাবে। কাজটি যে আপনি যথাযথভাবে শেষ করেছেন তা প্রমাণ দিতে কি কি তথ্য প্রদান করতে হবে তা "Required proof that task was finished?" অংশের মাধ্যমে জানা যাবে। সবশেষে "I accept this job " লিংকে ক্লিক করে একটি টেক্সটবক্সে আপনার কাজের প্রমাণগুলো দিতে হবে। কোন কাজ করতে না পারলে "Not interested in this job" লিংকে ক্লিক করে বের হয়ে যাওয়াই ভাল, সেক্ষেত্রে এই কাজটি আপনার "Available Jobs" পাতায় আর কখনও দেখাবে না।
আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সাররা ইতিমধ্যে এই সাইটে কাজ করছেন এবং তারা সাইট থেকে নিয়মিত টাকা পাচ্ছেন। তবে একটা বাস্তব সত্য হচ্ছে এই সাইট থেকে খুব বেশি পরিমাণে আয় করা যায় না। যারা পড়ালেখা বা অন্য কাজের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে বাড়তি আয় করতে চান তাদের জন্য এই সাইট অবশ্যই আয়ের একটি ভাল উপায় হতে পারে। এই সাইটের জনপ্রিয়তা এত বেশি যে, ইদানিংকালে এই সাইটকে অনুকরণ করে আরো অনেক ওয়েবসাইট চালু হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে www.minuteworkers.com, www.rapidworkers.com, www.minijobz.com ইত্যাদি। তবে সেই সাইটগুলো থেকে মাইক্রোওয়ার্কারসের মত আসলেই টাকা পাওয়া যায় কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "জুন ২০১০ ইং" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
ডাটা এন্ট্রি কাজ যারা করেন তারা ভালভাবেই জানেন যে একটি ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া কতটা কঠিন। কম্পিউটারের সাধারণ ব্যবহার জানলেই এ ধরনের কাজ করা যায়। এজন্য প্রায় প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে এক একটি ডাটা এন্ট্রি প্রজেক্ট করতে শত শত আবেদন পড়ে। এদের মধ্য থেকে সুনির্দিষ্ট একজনকে বেছে নিতে ক্লায়েন্টদেরকে স্বীদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয়। প্রথম কাজ পেতে কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কিছুদিন বিড করার পর কাজ না পেয়ে শেষে ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহই হারিয়ে ফেলেন। আজকে যে ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব তাতে কাজ করার জন্য কোন বিড বা আবেদন করতে হয় না। অর্থাৎ ইচ্ছে করলে এই মূহুর্ত থেকে কাজ শুরু করে দেয়া যায়। আর কাজগুলোও অত্যন্ত সহজ। সাইটটি হচ্ছে মাইক্রোওয়ার্কারস (www.microworkers.com)।
প্রথম দর্শনেই সাইটটিকে সহজবোধ্য মনে হবে।

মাইক্রোওয়ার্কারস সাইটে একজন ফ্রিল্যান্সারকে Worker এবং এবং একজন ক্লায়েন্টকে Employer হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাইটে এই দুই ধরনের ব্যবহারকারী কিভাবে কাজ করে তা নিচের কার্টুনের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে-

Worker হিসেবে কাজ শুরু করার পূর্বে প্রথমে সাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর মেনু থেকে Available Jobs লিংকে ক্লিক করে সকল কাজগুলো দেখা যাবে। প্রতিটি কাজের শিরোনামের সাথে কয়েকটি তথ্য পাওয়া যায় - কাজের মূল্য (Payment), শতকরা কতজনের কাজ ক্লায়েন্ট গ্রহণ করেছে (Success Rate), কাজটি করতে আনুমানিক কত মিনিট লাগতে পারে (Time), কতজন এ পর্যন্ত কাজটি করছে (Done) ইত্যাদি। কোন একটি কাজের শিরোনামের উপর ক্লিক করে সেই কাজের বিস্তারিত আরো তথ্য জানা যাবে। এর মধ্যে "What is expected from workers?" অংশ থেকে কাজের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যাবে। কাজটি যে আপনি যথাযথভাবে শেষ করেছেন তা প্রমাণ দিতে কি কি তথ্য প্রদান করতে হবে তা "Required proof that task was finished?" অংশের মাধ্যমে জানা যাবে। সবশেষে "I accept this job " লিংকে ক্লিক করে একটি টেক্সটবক্সে আপনার কাজের প্রমাণগুলো দিতে হবে। কোন কাজ করতে না পারলে "Not interested in this job" লিংকে ক্লিক করে বের হয়ে যাওয়াই ভাল, সেক্ষেত্রে এই কাজটি আপনার "Available Jobs" পাতায় আর কখনও দেখাবে না।
কাজের প্রকারভেদ:
এবার দেখা যাক সাইটে কি কি ধরনের কাজ পাওয়া যায় এবং সেগুলোর মূল্য সাধারণত কত হয় -- Click and Search ($0.10 - $0.15): এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট একটি সাইটের লিংক দিবে, যাতে ভিজিট করে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ দিয়ে সার্চ করতে হবে। সব শেষে ক্লায়েন্টের বর্ণনা অনুযায়ী এক বা একাধিক বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে হবে।
- Bookmark a page ($0.10 - $0.20): ক্লায়েন্টের কোন একটি সাইটকে অন্য একটি সাইটে বুকমার্ক করতে হবে। এ ধরনের বুকমার্ক সাইটের মধ্যে রয়েছে digg.com, delicious.com বা mixx.com, যা ক্লায়েন্ট কাজের বিবরণীতে উল্লেখ করে দিবে। বুকমার্ক করার পূর্বে ওই সাইটে আপনার একটি একাউন্ট থাকতে হবে।
- Signup ($0.10 - $0.20): এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন করার সময় আপনার ইমেইল ঠিকানা দিতে হবে। এ ধরনের কাজ করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত ইমেইল ঠিকানা দেয়া ঠিক হবে না। এজন্য পৃথক একটি ইমেইল একাউন্ট খুলে সেটি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা উচিৎ। অন্যথায় স্পাম ইমেইলের কারণে আপনার দরকারী ইমেইল খোঁজে পাবেন না।
- Comment on other blog ($0.10 - $0.15): এই কাজে ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে এক বা একাধিক মন্তব্য দিতে হবে। মন্তব্যগুলো সাধারণত দুই-এক লাইনের হবে এবং ওই ওযেবসাইটের বিষয়বস্তুর সাথে স্বামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
- Forums ($0.10 - $0.15): এ ধরনের কাজের জন্য কোন একটি ফোরামে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে এবং Signature হিসেবে ক্লায়েন্টের কোন ওয়েবসাইটের লিংক দিতে হবে। এরপর ওই ফোরামের এক বা একাধিক পাতায় স্বামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করতে হবে।
- Facebook ($0.15 - $0.20): এ ধরনের কাজের মধ্যে রয়েছে ক্লায়েন্টকে ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা বা ক্লায়েন্টের Fan হওয়া অথবা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার Wall এ পোস্ট করা।
- Twitter ($0.15 - $0.20): এক্ষেত্রে twitter.com এ একটি একাউন্ট থাকতে হবে এবং ক্লায়েন্টের একাউন্টকে Follow করতে হবে অথবা নিদিষ্ট কোন বিষয়ে পোস্ট করতে হবে।
- Write an article ($0.50 - $1.75): মাইক্রোওয়ার্কারসে প্রাপ্ত কাজগুলোর মধ্যে এই ধরনের কাজ অর্থাৎ কোন বিষয়ে ইংরেজীতে আর্টিকেল লিখে সবচেয়ে বেশি আয় করা যায়। লেখাগুলো ৫০ শব্দ থেকে শুরু করে ৫০০ শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। এ ধরনের কাজে এক দিকে যেমন ভাষাগত জ্ঞান বৃদ্ধি পায় তেমনি নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। তবে যাদের ইংরেজীতে লেখায় দক্ষতা আছে তারাই কেবল এ ধরনের কাজ করতে পারে। লেখায় তথ্য সংযোগের জন্য ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে অন্যান্য ওয়েবসাইটের সহায়তা নেয়া যাবে, তবে আপনার লেখাটা অবশ্যই মৌলিক হতে হবে। লেখা মৌলিক হল কিনা তা www.copyscape.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাচাই করা যাবে।
- Blog/Website Owners ($0.25 - $0.80): অনেক সময় শুধু লিখলেই হবে না, লেখাটা আপনার জনপ্রিয় কোন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এজন্য এধরনের কাজের নামের সাথে PR2+ PR3+, PR4+ ইত্যাদি লেখা দেখতে পাবেন। PR শব্দের মানে হচ্ছে Page Rank, আর PR2+ শব্দের মানে হচ্ছে যেসকল ওয়েবসাইটের পেইজ রেংক ২ বা তার অধিক। এটি গুগলের একটি মানদন্ড যা কোন ওয়েবসাইট কতটুকু জনপ্রিয় তা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়। একটি ওয়েবসাইটের পেইজ রেংক কত তা www.prchecker.info ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যায়। এ ধরনের কাজ শুরু করার পূর্বে www.blogger.com ওয়েবসাইটে গিয়ে বিনামূল্যে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। প্রথম অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই পেইজ রেংক শুণ্য থাকবে। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন বিষয়ে ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখেন তাহলে কয়েক মাস পর পেইজ রেংক বাড়তে থাকবে। লেখার পাশাপাশি ভাল রেংকের কয়েকটি ওয়েবসাইটের সাথে লিংক বিনিময় করতে পারলে পেইজ রেংক আরো তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকবে।
- Download and/or Install ($0.25 - 0.35): এই কাজে কোন সফটওয়্যার শুধুমাত্র ডাউনলোড এবং কোন কোন সময় ইন্সটলও করতে হয়।
- Post an Ad on Craigslist ($0.25 - $0.75): www.craigslist.org হচ্ছে শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপনের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের প্রদত্ত কোন পণ্যের বিজ্ঞাপণ craigslist.org সাইটে প্রকাশ করতে হয়। এজন্য পূর্বেই সাইটটিতে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
এই সাইটে কাজ করার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে ঝামেলাপূর্ণভাবে কাজ করতে পারবেন -- কোন অবস্থাতেই একাধিক একাউন্ট তৈরি করার উচিৎ নয়। একজন ব্যবহারকারী একাধিক একাউন্ট তৈরি করলে তার সবগুলো একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়।
- একটি নির্দিষ্ট কাজ একবারের বেশি কখনও করতে পারবেন না। তবে একই ধরনের অন্য কাজ করতে কোন বাধা নেই।
- কাজ না বুঝে কখনও কাজ জমা দিবেন না। প্রতিটি কাজের শেষে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ পছন্দ হলে "Satisfied" দিবে, অথবা অপছন্দ হলে "Not Satisfied" রেটিং দিবে। এই দুই ধরনের রেটিং এর তুলনাকে "Success Rate" বলা হয়। গত ৩০ দিনে আপনি যদি ৫ টি কাজ সম্পন্ন করেন এবং সেক্ষেত্রে আপনার "Success Rate" যদি ৭৫% এর নিচে হয়, তাহলে পরবর্তী ১ থেকে ৩০ দিন আপনি আর কোন কাজ করতে পারবেন না। তাই শতভাগ নিশ্চিত হয়ে কোন কাজ করা উচিৎ এবং কাজ শেষে ক্লায়েন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রমাণ উপস্থাপন করা আবশ্যক।
- কখনও যদি "Success Rate" ৭৫% এর কম হয়ে যায়, তাহলে হতাশ না হয়ে দুই-একদিন অপেক্ষা করে আবার কাজ করা যায় কিনা চেষ্টা করে দেখুন।
- নতুন ব্যবহারকারীরা প্রথম প্রথম একদিনে সর্বোচ্চ ৫ টি কাজ করতে পারবেন। এরপর ক্লায়েন্টের রেটিং এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ১০ টি কাজ করার পর এই সীমাটি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।
- কখনও যদি মনে করেন আপনি যথাযথভাবে কাজ করেছেন কিন্তু ক্লায়েন্ট আপনাকে "Not Satisfied" রেটিং দিয়েছে তাহলে "Submit a Complain" লিংকের মাধ্যমে আপনার অভিযোগ সাইটের কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন।
- কাজের প্রমাণ হিসেবে কখনও ভূয়া তথ্য প্রদান করবেন না, এ ধরনের কাজ তিনবার করলে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- যে সকল কাজে IP এড্রেস দিতে হয় সেসব কাজ না করাই ভাল। কারণ আমাদের দেশের ইন্টারনেট প্রোভাইডাররা গ্রাহকদেরকে শেয়ারকৃত IP এড্রেস দিয়ে থাকে। ফলে আপনার মত একই ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ আছে এরকম কেউ সেই কাজটি পূর্বে করে থাকলে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ গ্রহণ করবে না। আমাদের দেশে বিশষত গ্রামীণফোন বা সিটিসেলের ইন্টারনেট ব্যবহাকারী বেশি হওয়ায় এই সমস্যাটা তাদের ক্ষেত্রে বেশি হবে।
অর্থ উত্তোলন:
- শুধুমাত্র "Satisfied" রেটিং পেলেই সেই কাজের টাকা আপনার একাউন্টের ব্যালেন্সের সাথে যুক্ত হবে।
- চারটি পেমেন্ট পদ্ধতির যে কোনটিতে টাকা তুলতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হয়। চেকের ক্ষেত্রে ৪.৫০ ডলার, পেপালের ক্ষেত্রে ৬%, মানিবুকার্স এবং এলার্টপে পদ্ধতিতে ৬.৫% ফি দিতে হয়।
- একাউন্টের ব্যালেন্স ৯ ডলারের উপর হলেই কেবলমাত্র টাকা তুলতে পারবেন। সাথে ফি দেবার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ একাউন্টে থাকতে হবে।
- প্রথম Withdraw করার আবেদনের সময় আপনার বাসার ঠিকানায় চিঠির মাধ্যমে একটি PIN নাম্বার পাঠানো হবে। এই নাম্বারটি পরবর্তীতে সাইটে প্রবেশ করাতে হবে। কেউ একাধিক একাউন্ট তৈরি করেছে কিনা তা যাচাই করতে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। PIN নাম্বারের চিঠিটি আসতে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগতে পারে।
- ঠিকানা যাচাই করার পর পরবর্তী Withdraw আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে আপনাকে মূল্য পরিশোধ করা হবে।
আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সাররা ইতিমধ্যে এই সাইটে কাজ করছেন এবং তারা সাইট থেকে নিয়মিত টাকা পাচ্ছেন। তবে একটা বাস্তব সত্য হচ্ছে এই সাইট থেকে খুব বেশি পরিমাণে আয় করা যায় না। যারা পড়ালেখা বা অন্য কাজের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে বাড়তি আয় করতে চান তাদের জন্য এই সাইট অবশ্যই আয়ের একটি ভাল উপায় হতে পারে। এই সাইটের জনপ্রিয়তা এত বেশি যে, ইদানিংকালে এই সাইটকে অনুকরণ করে আরো অনেক ওয়েবসাইট চালু হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে www.minuteworkers.com, www.rapidworkers.com, www.minijobz.com ইত্যাদি। তবে সেই সাইটগুলো থেকে মাইক্রোওয়ার্কারসের মত আসলেই টাকা পাওয়া যায় কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "জুন ২০১০ ইং" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
স&#
০৭
বর্তমান
সময়ে সারা বিশ্বে এনিমেশন, ওয়েবসাইট, ব্যানার, দ্বিমাত্রিক গেমস ইত্যাদি
তৈরির জন্য ফ্লাশ (Flash) অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার। আমাদের দেশেও
প্রচুর প্রফেশনাল ফ্লাশ ডেভেলপার রয়েছেন। আউটসোর্সিং এর জগতে ফ্লাশের রয়েছে
বেশ ভাল কদর। ফ্লাশ দিয়ে তৈরি করা একটি ওয়েবসাইটের দাম সাধারণ ওয়েবসাইট
থেকে অনেক বেশি হয়ে থাকে। ফ্লাশ দিয়ে একদিকে যেরকম নজরকাড়া ডিজাইন তৈরি করা
যায়, অন্যদিকে এর একশনস্ক্রিপ্ট দিয়ে শক্তিশালী ও উন্নতমানের সফটওয়্যার
তৈরি করা সম্ভব। ফ্লাশ দিয়ে তৈরি করা গেমগুলো যেকোন বয়সের মানুষই পছন্দ
করে। ফ্লাশ দিয়ে গেমস তৈরিতে পারদর্শী হলে এটি হতে পারে ঘরে বসে আয়ের
অন্যতম মাধ্যম। এই সুযোগটি করে দিচ্ছে মোচিমিডিয়া (www.MochiMedia.com)
নামক একটি চমৎকার ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটি প্রকৃতপক্ষে একটি বিজ্ঞাপনের
নেটওয়ার্ক, যাদের রয়েছে ১৪ হাজারের উপর ফ্লাশ গেমসের বিশাল সংগ্রহ। যা ৩০
হাজার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১০ কোটি গেমারের কাছে ডেভেলপারের তৈরিকৃত গেমকে
বিনামূল্যে পৌছে দেয়। তার বিনিময়ে গেমে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত
হয়, যা থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি অংশ গেম ডেভেলপারকে দেয়া হয়।

তাহলে দেখে নেয়া যাক মোচিমিডিয়া ওয়েবসাইটটি কিভাবে কাজ করে। ওয়েবসাইটে তিন ধরনের ব্যবহাকারী রয়েছে - গেম ডেভেলপার, গেম প্রকাশক এবং বিজ্ঞাপনদাতা। প্রথমে গেম ডেভেলপার একটি গেম তৈরি করে ওয়েবসাইটে জমা দেয়। গেম প্রকাশকরা গেমটিকে মোচিমিডিয়া থেকে ডাউনলোড করে তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। সেই সকল ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারী গেমাররা যখন গেমটি খেলে তখন গেমের মধ্যে একটি বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়। প্রত্যেকবার বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবার জন্য বিজ্ঞাপনদাতা মোচিমিডিয়াকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে। মোচিমিডিয়া গেম ডেভেলপারকে সেই অর্থের ৫০% প্রদান করে। এভাবে যে কেউ প্রত্যেকবার গেম খেলার সাথে সাথে গেম ডেভেলপার স্বয়ংক্রিয়ভাবে আয় করতে থাকে। এই আয়ের পরিমাণটি কত সেই তথ্য নির্দিষ্ট করে সাইটে দেয়া নেই। এটি নির্ভর করে গেমে যে বিজ্ঞাপনটি প্রদর্শিত হচ্ছে তার উপর। অন্যান্য ডেভেলপারদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, গড়ে প্রতি ১ হাজার বার গেম খেলা হলে গেম ডেভেলপার ১ ডলার আয় করে। সেই হিসেবে মোচিমিডার ৩০ হাজার পাবলিশারের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার পাবলিশারের ওয়েবসাইটে যদি ১ বার করেও প্রতিদিন আপনার গেম খেলা হয় তাহলে একটি গেম থেকেই প্রতিদিন ১০ ডলার করে আয় করা সম্ভব। গেম পাবলিশারদের মধ্যে অনেকগুলো বিখ্যাত ওয়েবসাইট। যাদের মধ্য উল্লেখযোগ্য হচ্ছে Hi5, MindJolt, GamePro এবং AOL এর মত বিখ্যাত সাইটগুলো। এইসব সাইটে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ ব্যবহারকারী ভিজিট করে। সেই হিসেবে একটি উন্নতমানের গেম তৈরি করতে পারলে ধারণার চেয়েও বেশি পরিমাণে আয় করা সম্ভব।
মোচিমিডিয়ায় গেম ডেভেলপারদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস রয়েছে, যা গেম তৈরি করার সময় গেমে এপিআই বা একধরনের কোড যুক্ত করে পাওয়া যায়। এপিআইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে -
১. Ads API:
কেবলমাত্র একটি লাইনের বিজ্ঞাপনের এপিআই কোড যোগ করে যে কোন গেমকে আয়ের উৎসে পরিণত করা যায়। বিজ্ঞাপনকে একটি গেমের যে কোন তিনটি স্থানে যোগ করতে পারবেন - গেম শুরু হবার পূর্বে, গেমের দুটি লেভেলে মধ্যে অথবা খেলা চলাকালীন সময়ে একটি লিংক যুক্ত করে। বিজ্ঞাপনকে নিজের ইচ্ছেমত নিয়ন্ত্রণ করা যায়, অর্থাৎ বিজ্ঞাপনটি কখন দেখাবে আর কখন দেখাবে না তাও ঠিক করে দেয়া যায়। বিজ্ঞাপণগুলো Cost per thousand impression (CPM), Cost per Click (CPC) এবং Cost per Acquisition (CPA) পদ্ধতিতে প্রদর্শন করা হয়। CPC বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে ডেভেলপারকে অর্থ প্রদান করা হয়। তবে বেশিরভাগ সময় CPM পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপনগুলো দেখানো হয়, অর্থাৎ প্রতিবার বিজ্ঞাপন দেখানোর সাথে সাথে গেম ডেভেলপার আয় করতে থাকে।
২. Analytics API:
মোচি এনালাইটিক এপিআই হচ্ছে একটি ফ্রি সার্ভিস যা দিয়ে একজন ফ্লাশ ডেভেলপার তার তৈরিকৃত গেমসকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এই সার্ভিসের মাধ্যমে গেমটি কতবার খেলা হয়েছে, কোন কোন সাইটে খেলা হচ্ছে ইত্যাদি তথ্য সহজেই জানা যায়। এই সার্ভিসটি ফ্লাশ গেমস ছাড়াও যে কোন ধরনের ফ্লাশ কন্টেন্ট বা ফাইলকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য মোচিমিডিয়া সাইট থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। যে কোন ফ্লাশ ফাইলের সাথে একটি একশনস্ক্রিপ্ট কোড যুক্ত করে ফাইলকে পর্যবেক্ষণের উপযোগী করতে পারবেন।
৩. Coins API:
মোচি কয়েন এপিআই ব্যবহার করে ফ্লাশ গেম ডেভেলপারা একটি গেম থেকে অতিরিক্ত আরো অর্থ আয় করতে পারে। এই পদ্ধতিতে একটি গেমের মধ্যে বিভিন্ন লেভেল আনলক করা, গেমের মধ্যে বিভিন্ন অতিরিক্ত সরঞ্জাম, অস্ত্র, চিটকোড ইত্যাদি বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। এগুলো বিক্রির জন্য মোচিমিডিয়া বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট পদ্ধতি প্রদান করে থাকে। প্রতিটি আইটেম বিক্রির ৬০% অর্থ গেম ডেভেলপারকে দেয়া হয়।
৪. Scores API:
মোচি স্কোর এপিআই এর মাধ্যমে একটি গেমে সর্বোচ্চ স্কোর করা খেলোয়াড়দেরকে প্রদর্শন করা যায়। ফলে অধিক স্কোর করার নেশায় গেমাররা পুনরায় আপনার গেম খেলবে। গেমের মধ্যে স্কোরবোর্ড যোগ করাও অত্যন্ত সহজ, মাত্র কয়েক লাইনের কোড যোগ করলেই পাওয়া যায়। স্কোরবোর্ডকে গেমের ডিজাইনের সাথে মিল রেখে ইচ্ছেমত পরিরর্তন করা যায়। স্কোরবোর্ডকে ফেইসবুকের সাথে যুক্ত করা যায়, ফলে গেমাররা ফেইসবুকে তাদের বন্ধুদেরকে গেম খেলায় আমন্ত্রণ জানাতে পারে।
৫. Live Updates:
মোচি লাইভ আপডেট সার্ভিসের মাধ্যমে গেমের সর্বশেষ ভার্সনকে মূহুর্তের মধ্যেই সকল সাইটে ছড়িয়ে দেয়া যায়। ধরা যাক, আপনার গেমটি ২০ হাজার সাইটে খেলা হচ্ছে। সেই মূহুর্তে গেমে একটি বাগ বা ভুল ধরা পড়ল। ভুলটি ঠিক করে মোচিমিডিয়া সাইটে জমা দিলে লাইভ আপডেট সার্ভিসের মাধ্যমে তা সকল সাইটে আপডেট হয়ে যাবে। একই পদ্ধতিতে গেমের ভার্সনকে আপডেট ও নতুন ফিচার যুক্ত করা যাবে।
কেবলমাত্র একটি লাইনের বিজ্ঞাপনের এপিআই কোড যোগ করে যে কোন গেমকে আয়ের উৎসে পরিণত করা যায়। বিজ্ঞাপনকে একটি গেমের যে কোন তিনটি স্থানে যোগ করতে পারবেন - গেম শুরু হবার পূর্বে, গেমের দুটি লেভেলে মধ্যে অথবা খেলা চলাকালীন সময়ে একটি লিংক যুক্ত করে। বিজ্ঞাপনকে নিজের ইচ্ছেমত নিয়ন্ত্রণ করা যায়, অর্থাৎ বিজ্ঞাপনটি কখন দেখাবে আর কখন দেখাবে না তাও ঠিক করে দেয়া যায়। বিজ্ঞাপণগুলো Cost per thousand impression (CPM), Cost per Click (CPC) এবং Cost per Acquisition (CPA) পদ্ধতিতে প্রদর্শন করা হয়। CPC বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে ডেভেলপারকে অর্থ প্রদান করা হয়। তবে বেশিরভাগ সময় CPM পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপনগুলো দেখানো হয়, অর্থাৎ প্রতিবার বিজ্ঞাপন দেখানোর সাথে সাথে গেম ডেভেলপার আয় করতে থাকে।
২. Analytics API:
মোচি এনালাইটিক এপিআই হচ্ছে একটি ফ্রি সার্ভিস যা দিয়ে একজন ফ্লাশ ডেভেলপার তার তৈরিকৃত গেমসকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এই সার্ভিসের মাধ্যমে গেমটি কতবার খেলা হয়েছে, কোন কোন সাইটে খেলা হচ্ছে ইত্যাদি তথ্য সহজেই জানা যায়। এই সার্ভিসটি ফ্লাশ গেমস ছাড়াও যে কোন ধরনের ফ্লাশ কন্টেন্ট বা ফাইলকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য মোচিমিডিয়া সাইট থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। যে কোন ফ্লাশ ফাইলের সাথে একটি একশনস্ক্রিপ্ট কোড যুক্ত করে ফাইলকে পর্যবেক্ষণের উপযোগী করতে পারবেন।
৩. Coins API:
মোচি কয়েন এপিআই ব্যবহার করে ফ্লাশ গেম ডেভেলপারা একটি গেম থেকে অতিরিক্ত আরো অর্থ আয় করতে পারে। এই পদ্ধতিতে একটি গেমের মধ্যে বিভিন্ন লেভেল আনলক করা, গেমের মধ্যে বিভিন্ন অতিরিক্ত সরঞ্জাম, অস্ত্র, চিটকোড ইত্যাদি বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। এগুলো বিক্রির জন্য মোচিমিডিয়া বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট পদ্ধতি প্রদান করে থাকে। প্রতিটি আইটেম বিক্রির ৬০% অর্থ গেম ডেভেলপারকে দেয়া হয়।
৪. Scores API:
মোচি স্কোর এপিআই এর মাধ্যমে একটি গেমে সর্বোচ্চ স্কোর করা খেলোয়াড়দেরকে প্রদর্শন করা যায়। ফলে অধিক স্কোর করার নেশায় গেমাররা পুনরায় আপনার গেম খেলবে। গেমের মধ্যে স্কোরবোর্ড যোগ করাও অত্যন্ত সহজ, মাত্র কয়েক লাইনের কোড যোগ করলেই পাওয়া যায়। স্কোরবোর্ডকে গেমের ডিজাইনের সাথে মিল রেখে ইচ্ছেমত পরিরর্তন করা যায়। স্কোরবোর্ডকে ফেইসবুকের সাথে যুক্ত করা যায়, ফলে গেমাররা ফেইসবুকে তাদের বন্ধুদেরকে গেম খেলায় আমন্ত্রণ জানাতে পারে।
৫. Live Updates:
মোচি লাইভ আপডেট সার্ভিসের মাধ্যমে গেমের সর্বশেষ ভার্সনকে মূহুর্তের মধ্যেই সকল সাইটে ছড়িয়ে দেয়া যায়। ধরা যাক, আপনার গেমটি ২০ হাজার সাইটে খেলা হচ্ছে। সেই মূহুর্তে গেমে একটি বাগ বা ভুল ধরা পড়ল। ভুলটি ঠিক করে মোচিমিডিয়া সাইটে জমা দিলে লাইভ আপডেট সার্ভিসের মাধ্যমে তা সকল সাইটে আপডেট হয়ে যাবে। একই পদ্ধতিতে গেমের ভার্সনকে আপডেট ও নতুন ফিচার যুক্ত করা যাবে।
আমাদের দেশে অনেকে মোচিমিডিয়ার জন্য গেম তৈরি করে আয় করছেন। এরকম একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে "মুক্ত সফটওয়্যার" www.MuktoSoft.com । আবার অনেকে পাবলিশার হিসেবে মোচিমিডিয়ার গেমগুলোকে নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। আমাদের দেশী ওয়েবসাইট নির্মাতাদের তৈরি এরকম একটি সাইট হচ্ছে www.StreetGamers.net । স্ট্রীট গেমারস ওয়েবসাইটটি এখনও ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে রয়েছে। তবে এখনই এই ওয়েবসাইট থেকে মোচিমিডিয়া প্রদত্ত গেমগুলো বিনামূল্যে খেলা যায়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে RSS Feed এর মাধ্যমে মোচিমিডিয়ার গেমগুলোকে স্ট্রীট গেমারস সাইটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিদিন যুক্ত করা হয়। আর এই কাজের জন্য PHP স্ক্রিপ্ট মোচিমিডিয়া ওয়েবসাইট থেকেই সংগ্রহ করা যায়।
লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "আগস্ট ২০০৯" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
আগস
২২
ইদানিংকালে আমাদের দেশে ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেকেরই, বিশেষ
করে তরুনদের যথেষ্ঠ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে সঠিক
দিকনির্দেশনার অভাবে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিজের প্রতিভাকে সঠিকভাবে কাজে
লাগাতে পারছেন না। বেশিরভাগই দেখা যায় গুগল এ্যাডসেন্স বা নেটবাক্স ইত্যাদি
নিয়ে খুব মাথা ঘামান। ব্লগার বা এই জাতীয় ফ্রি ব্লগিং সাইটে রেজিষ্ট্রেশন
করে, দুএকটা পোস্ট দিয়ে তাতে মূলত মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হয়,
যা সত্যি দৃষ্টিকটূ লাগে। অনেকে আবার দেখা যায় অন্যের সাইট থেকে লেখা
কপি/পেস্ট করে চালিয়ে দেয়। আমার সাইটের
আর্টিকেলগুলো যে আমি কত অসংখ্য সাইটে কপি হতে দেখেছি তার হিসেব নেই।
প্রকৃতপক্ষে এগুলো নিয়ে আমি খুব একটা মাথা ঘামাই নেই। আমার মূল বক্তব্য
হচ্ছে এইসব কাজ করে তরুণরা শুধুমাত্র তাদের মূল্যবান সময়টুকুই অপচয় করছে।
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা যে কতটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার তা মনে হয় বেশিরভাগই
জানেন না। হাতেগোণা কয়েকজন হয়ত সফলতা পেতে পারেন, তবে বেশিরভাগের কাছেই তা
বোধগম্য হয়ে উঠে না। সত্যি বলতে কি এধরনের কাজে কিছুটা পড়ালেখারও প্রয়োজন
রয়েছে, এই যেমন SEO (Search Engine Optimization), Internet Marketing
ইত্যাদি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান নিয়েই তবে এগুলো শুরু করা উচিত।
সে যাই হোক, এবার কাজের কথায় আসি। অনেকেই আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন যে, বাংলাদেশীদের জন্য একটি মার্কেটপ্লেস চালু করার জন্য। আমিও ঠিক এরকম একটি সাইট চালু করার কথা অনেকদিন থেকে ভাবছিলাম। সেই ধারণা থেকে একটি মার্কেটপ্লেস তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছি। মার্কেটপ্লেসটির মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হবে নিম্নরূপ:
পরবর্তী প্রশ্ন হল, মার্কেটপ্লেসকে জনপ্রিয় করে তুলতে বাংলাদেশী ভাল ডিজাইনার কোথায় পাওয়া যাবে, আর যারা ডিজাইন জানেন না তাদের জন্য কি ব্যবস্থা? সেই লক্ষ্যে আমি একটি সুদূর প্রসারী চিন্তাভাবনা করছি। প্রথম অবস্থায় আমার ইচ্ছে হল, নতুনদেরকে ৩ থেকে ৬ মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে দক্ষ করে তোলা। প্রশিক্ষণ দেয়া হবে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। অর্থাৎ যে কেউ নিজের ঘরে বসে প্রশিক্ষণটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সম্পন্ন করতে পারবে। পরবর্তীতে তাদের মধ্য থেকে ৫০ বা ১০০ জনকে নিয়ে মার্কেটপ্লেসটি যাত্রা করা হবে।
প্রশিক্ষণ ওয়েবসাইটটি নিয়ে আমার আরো অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তার আগে আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই, এই প্রশিক্ষণ ওয়েবসাইটে আপনি কি কি ফিচার আশা করছেন? আপনাদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই ওয়েবসাইটটি তৈরি শুরু করে দিব।
সর্বশেষ তথ্য: ৭ই সেপ্টেম্বর ২০০৯ ইং
ডিজাইনারদের জন্য প্রশিক্ষণ সাইটের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার টিম সর্বাত্বক চেষ্টা করছে যাতে এই মাসের মধ্য সাইটটির Beta ভার্সন প্রকাশ করা যায়। ওয়েবসাইটটি বাংলা এবং ইংরেজী উভয় ভাষাতে তৈরি করা হচ্ছে। নিচে সাইটটির একটি অংশের স্ক্রীনশট দেয়া হল।

লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
সে যাই হোক, এবার কাজের কথায় আসি। অনেকেই আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন যে, বাংলাদেশীদের জন্য একটি মার্কেটপ্লেস চালু করার জন্য। আমিও ঠিক এরকম একটি সাইট চালু করার কথা অনেকদিন থেকে ভাবছিলাম। সেই ধারণা থেকে একটি মার্কেটপ্লেস তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছি। মার্কেটপ্লেসটির মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হবে নিম্নরূপ:
- এটি হবে কম্পিউটার গ্রাফিক্স অর্থাৎ ফটোশপ/ইল্যাস্ট্রেটর দিয়ে তৈরি ডিজাইন, টেম্পলেট ইত্যাদি বিক্রির ওয়েবসাইট।
- মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা রেজিষ্ট্রেশন করে তাদের ডিজাইনগুলো নিয়মিত জমা দিবে।
- বিদেশী ক্লায়েন্টরা সেগুলো মার্কেটপ্লেস থেকে সুলভমূল্যে কিনবে।
পরবর্তী প্রশ্ন হল, মার্কেটপ্লেসকে জনপ্রিয় করে তুলতে বাংলাদেশী ভাল ডিজাইনার কোথায় পাওয়া যাবে, আর যারা ডিজাইন জানেন না তাদের জন্য কি ব্যবস্থা? সেই লক্ষ্যে আমি একটি সুদূর প্রসারী চিন্তাভাবনা করছি। প্রথম অবস্থায় আমার ইচ্ছে হল, নতুনদেরকে ৩ থেকে ৬ মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে দক্ষ করে তোলা। প্রশিক্ষণ দেয়া হবে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। অর্থাৎ যে কেউ নিজের ঘরে বসে প্রশিক্ষণটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সম্পন্ন করতে পারবে। পরবর্তীতে তাদের মধ্য থেকে ৫০ বা ১০০ জনকে নিয়ে মার্কেটপ্লেসটি যাত্রা করা হবে।
প্রশিক্ষণ ওয়েবসাইটটি নিয়ে আমার আরো অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তার আগে আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই, এই প্রশিক্ষণ ওয়েবসাইটে আপনি কি কি ফিচার আশা করছেন? আপনাদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই ওয়েবসাইটটি তৈরি শুরু করে দিব।
সর্বশেষ তথ্য: ৭ই সেপ্টেম্বর ২০০৯ ইং
ডিজাইনারদের জন্য প্রশিক্ষণ সাইটের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার টিম সর্বাত্বক চেষ্টা করছে যাতে এই মাসের মধ্য সাইটটির Beta ভার্সন প্রকাশ করা যায়। ওয়েবসাইটটি বাংলা এবং ইংরেজী উভয় ভাষাতে তৈরি করা হচ্ছে। নিচে সাইটটির একটি অংশের স্ক্রীনশট দেয়া হল।

লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
ম&#
১২
এই ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটি কাজকে কনটেস্ট (contest) বা প্রতিযোগিতা বলা হয়। ক্লায়েন্টকে এই সাইটে কনটেস্ট হোল্ডার বা আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী ফ্রিল্যান্সারদেরকে ডিজাইনার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই সাইটে ৩০ হাজারের উপর ডিজাইনার রেজিষ্ট্রেশন করেছে এবং এই মূহুর্তে তিনশতটির উপর প্রতিযোগিতা রয়েছে যেগুলোর সর্বমোট মূল্য হচ্ছে ১ লক্ষ ডলারেরও বেশী। প্রতিযোগিতার পুরষ্কার হিসেবে প্রধানত অর্থ প্রদান করা হয়, তবে আয়োজক ইচ্ছে করলে সাথে অন্য কোন সামগ্রী দিতে পারে।
যেভাবে সাইটটি কাজ করে
১) ডিজাইনের নির্দেশনা তৈরি:প্রথম ধাপে প্রতিযোগিতার আয়োজক তার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইনের একটি নির্দেশনা তৈরি করে যাকে বলা হয় ডিজাইন ব্রিফ (Design Brief)। ডিজাইনাররা এই ব্রিফের উপর ভিত্তি করে তাদের ডিজাইন তৈরি করে থাকে। প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করার জন্য এসময় ক্লায়েন্টকে ৩৯ ডলার অর্থ সাইটকে প্রদান করতে হয়। তবে এই সাইট থেকে ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে কোন ফি নেয়া হয় না।
২) বাজেট নির্ধারণ:
দ্বিতীয় ধাপে আয়োজক পুরষ্কারের পরিমাণ নির্ধারণ করে। পুরষ্কারের মূল্য সর্বনিম্ন ১০০ ডলার থেকে শুরু করে এক থেকে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এটি সম্পূর্ণ আয়োজকের বাজেটের উপর নির্ভর করে।
৩) প্রতিযোগিতা শুরু:
প্রত্যেকটি প্রতিযোগিতা সর্বনিম্ন ১ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৭ দিন পর্যন্ত চলতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ডিজাইনাররা প্রজেক্টের ব্রিফের উপর নির্ভর করে ডিজাইন তৈরি করে এবং তৈরিকৃত ডিজাইনের একটি ছবি ওয়েবসাইটে জমা করে। এই ছবিগুলো যে কেউ দেখতে পারে। এতে একজনের ডিজাইন দেখে তার থেকে ভাল আরেকটি ডিজাইন তৈরি করার মানসিকতা ডিজাইনারদের মধ্য কাজ করে। যা পরিশেষে আয়োজকের জন্য সুফল বয়ে আনে। প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে আয়োজক জমা দেয়া প্রত্যেকটি ডিজাইনকে একটি রেটিং এবং একটি মন্তব্য প্রদান করে। কোন ডিজাইন ভাল না হলে তা ঠিক করার পরামর্শও আয়োজক দিয়ে থাকে। প্রত্যেক ডিজাইনার একের অধিক ডিজাইন জমা দিতে পারে।
৪) বিজয়ী নির্ধারণ:
রেটিং এবং মন্তব্য প্রদানের মাধ্যমে আয়োজক ডিজাইনারদের সাথে যোগাযোগ করে এবং তার কাঙ্খিত ডিজাইন তৈরি করিয়ে নেয়। প্রতিযোগিতা শেষ হবার পর আয়োজক একজনকে বিজয়ী হিসেবে নির্ধারণ করে এবং তার পুরষ্কার প্রদান করে। সবশেষে ডিজাইনার তার তৈরিকৃত মূল ডিজাইনের ফাইল আয়োজককে দিয়ে দেয়।
প্রতিযোগিতার প্রকারভেদ:
99designs.com সাইটে পুরষ্কার প্রদানের বিভিন্ন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় -১) প্রিপেইড প্রতিযোগিতা:এটি হচ্ছে সাইটটির স্ট্যান্ডার্ড একটি প্রতিযোগিতা যাতে আয়োজক পুরষ্কারের মূল্য প্রতিযোগিতা শুরুর পূর্বেই 99designs.com সাইটে জমা রাখে। প্রতিযোগিতা শেষে সাইটটি বিজয়ী ডিজাইনারকে অর্থ প্রদান করে থাকে। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় আয়োজক কোন ডিজাইন পছন্দ না হলে প্রতিযোগিতা বাতিল করে অর্থ ফেরত নিতে যেতে পারে। প্রিপেইড প্রতিযোগিতার সময় হচ্ছে ৭ দিন। প্রতিযোগিতা শেষে আরো ৭ দিনের মধ্যে আয়োজক একজন ডিজাইনারকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করতে পারে অথবা কোন ডিজাইন পছন্দ না হলে প্রতিযোগিতা বাতিল করতে পারে।
২) গ্যারান্টেড প্রতিযোগিতা:
গ্যারান্টেড প্রতিযোগিতা ডিজাইনারদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ একটি পদ্ধতি যা বেশিরভাগ ডিজাইনারকে আকৃষ্ট করে। ফলে আয়োজক সর্বোৎকৃষ্টমানের ডিজাইন পেতে পারে। পুরষ্কার প্রদানের পদ্ধতি প্রিপেইড প্রতিযোগিতার মতই, তবে এই পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতা শেষে আয়োজক নিশ্চিতভাবে একজন ডিজাইনারকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে এবং তার পুরষ্কারের মূল্য প্রদান করে। গ্যারান্টেড প্রতিযোগিতায় আয়োজক প্রতিযোগিতা বাতিল বা সাইটে জমা দেয়া অর্থ ফেরত নিতে পারে না।
৩) পে-অন-উইন প্রতিযোগিতা:
এটি সাইটের প্রথম দিককার প্রতিযোগিতার পদ্ধতি ছিল, যা এখন আর নেই। এই পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতার আয়োজক সাইটে পুরষ্কারের অর্থ জমা না রেখে সরাসরি বিজয়ী ডিজাইনারকে প্রদান করত। অন্যদিকে বর্তমানে এই কাজটি 99designs.com সাইটটি বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে করে থাকে।
৪) ফাস্ট ট্র্যাক প্রতিযোগিতা:
এই ধরনের প্রতিযোগিতা একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আয়োজন করা হয়, সাধারনত ১ থেকে ৩ দিন। সাধারণত এই ধরনের প্রতিযোগিতার পুরষ্কারের মূল্য অন্যান্য ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে বেশি হয়ে থাকে।
৫) প্রাইভেট প্রতিযোগিতা:প্রাইভেট প্রতিযোগিতাগুলো প্রিপেইড প্রতিযোগিতার মতই, তবে শুধুমাত্র ওয়েবসাইটে লগইন করার পর দেখা যায়। এই ধরনের প্রতিযোগিতাকে সাইটের সার্চে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না এবং এগুলো সার্চ ইঞ্জিন থেকে লুকানো থাকে।
পুরষ্কারের অর্থ উত্তোলনের পদ্ধতি:
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ডিজাইনার তার তৈরিকৃত ডিজাইনারের মূল ফাইল সাইটে আপলোড করে দেয়। আয়োজক কাজটি গ্রহণ করার সাথে সাথে পুরষ্কারের সম্পূর্ণ অর্থ ডিজাইনারের একাউন্টে জমা হয়ে যায়। মোট আয় ৫০ ডলারের অধিক হলেই ওয়েবসাইটটি থেকে ৪টি পদ্ধতির যে কোন একটি ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলন করা যায়। পদ্ধতিগুলো হচ্ছে - পেপাল, অল্টারপে, মানিবুকারস এবং ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন। বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারা শেষের দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই অর্থ উত্তোলন করতে পারবে।সৃজনশীল এবং দক্ষ ডিজাইনারদের জন্য 99designs.com সাইটটি ইন্টারনেট থেকে আয় করার একটি চমৎকার মার্কেটপ্লেস। এই সাইটে যেহেতু একজনের ডিজাইন অন্য আরেকজন দেখতে পারে ফলে নতুন ডিজাইনারা এই পদ্ধতিতে ডিজাইনের নতুন নতুন আইডিয়া শিখতে পারবে। একটি ডিজাইন জমা দেয়ার সাথে সাথেই যেহেতু ক্লায়েন্টের মতামত ও রেটিং পাওয়া যায়, তাতে ডিজাইনার জানতে পারে তার ডিজাইন কতটকু গ্রহণযোগ্য এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারে। এই সাইটের অন্য আরেকটি ভাল দিক হচ্ছে এখানে অন্যান্য সাইট থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি মূল্যের কাজ পাওয়া যায়। উদাহরণসরূপ এই সাইটে একটি ছোট্ট লোগো ডিজাইন করার জন্য প্রায়ই ৫০০ ডলারের গ্যারান্টেড পুরষ্কার প্রদান করা হয়, যা সত্যি অভাবনীয়।
এপ&
১৯
এনভাটো মার্কেটপ্লেস FlashDen, AudioJungle, VideoHive, ThemeForest এবং GraphicRiver নামক পাঁচটি সাইট নিয়ে গঠিত। প্রত্যেকটি সাইটের গঠন এবং ব্যবহার পদ্ধতি একই রকম। যেকোন একটি সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে অন্য সকল সাইটে একই ব্যবহারকারী একাউন্ট দিয়ে প্রবেশ করা যায়। যে কেউ ইচ্ছে করলেই এই এনভাটো মার্কেটপ্লেসে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবে এবং তাদের যে কোন সাইট থেকে আয় করতে পারবে। এই লেখাটি www.ThemeForest.net সাইটের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
থিমফরেস্ট সাইটটি ওয়েবসাইট ডিজাইন বা টেম্পলেট ক্রয়-বিক্রির জন্য বিশেষভাবে গঠিত। সবগুলো টেম্পলেট মূল পাঁচটি ভাগে বিভক্ত। এগুলো হচ্ছে HTML টেম্পলেট, Wordpress, PSD টেম্পলেট, Joomla এবং অন্যান্য। সাধারণত ফটোশপ দিয়ে ওয়েবসাইটের টেম্পলেটগুলো তৈরি করা হয়, যা "কম্পিউটার জগৎ" এর গত সংখ্যায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এনভাটো মার্কেটপ্লেসে যারা ডিজাইন বা অন্যান্য প্রোগ্রামের ফাইল বিক্রি করে তাদের প্রত্যেককে Author বা লেখক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাইটগুলোর লেখক হতে হলে প্রথমে ছোটখাট একটি কুইজে অংশগ্রহণ করতে হয়। প্রকৃতপক্ষে এটি হচ্ছে সাইটের সকল নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং তাতে সম্মতি জ্ঞাপন করা।
যেভাবে মার্কেটপ্লেসটি কাজ করে
একজন লেখক হিসেবে প্রথমে আপনি আপনার ইচ্ছেমত যেকোন ধরনের একটি ওয়েবসাইটের টেম্পলেট তৈরি করবেন। কাজ শেষে টেম্পলেটের ফাইলটি একটি ফর্মের সাহায্য সাইটে আপলোড করবেন। এরপর সাইটের কর্তৃপক্ষ ফাইলটি যাচাই করে দেখবে এটি যথাযথ কাজ করে কিনা এবং থিম বা টেম্পলেট লাইব্রেরীতে অন্তর্ভুক্তির জন্য উপযুক্ত কিনা। আপনার টেম্পলেটটি গ্রহণযোগ্য হলে সাইটের কর্তৃপক্ষ এটির জন্য উপযুক্ত একটি মূল্য নির্ধারণ করে সাইটে আপলোড করবে। আর যদি কাজটি গ্রহনযোগ্য না হয় তাহলে কর্তৃপক্ষ আপনাকে টেম্পলেটটি পরিবর্তন করার যথাযথ দিকনির্দেশনা দিবে অথবা সাইটের জন্য একদমই অনুপযুক্ত কিনা তা ইমেইলের মাধ্যমে জানাবে।
আপনার টেম্পলেটটি বিক্রির জন্য সাইটে স্থান পেলে, প্রত্যেকবার এটি বিক্রির উপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনাকে দেয়া হবে। আপনি যদি আপনার কাজ এক্সক্লুসিভভাবে এই সাইটে বিক্রির জন্য সম্মত হন তাহলে প্রতিটি টেম্পলেটের মূল্যের ৪০% অর্থ আপনাকে দেয়া হবে। অর্থাৎ থিমফরেস্ট সাইটে বিক্রির জন্য আপলোড করা কোন টেম্পলেট অন্য কোথাও পুনরায় বিক্রি করতে পারবেন না। আপনার টেম্পলেটগুলো যত অধিক মাত্রায় বিক্রি হবে, আয়ের পরিমাণও তত বেশি বাড়তে থাকবে। এভাবে একজন এক্সক্লুসিভ ব্যবহারকারীকে পর্যায়ক্রমে তার টেম্পলেটের মূল্যের ৭০% অর্থ প্রদান করা হয়। অন্যদিকে নন-এক্সক্লুসিভ ব্যবহারকারী হিসেবে সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করলে আপনার তৈরিকৃত একই টেম্পলেট অন্য যেকোন সাইটে বিক্রি করতে পারবেন। তবে থিমফরেস্ট সাইটে আপনার টেম্পলেটের জন্য ২৫% অর্থ প্রদান করা হবে। তাই এক্সক্লুসিভ ব্যবহারকারী হিসেবে সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করাই বেশি লাভজনক।
এই সাইটে PSD ফরমেটে টেম্পলেটগুলোর মূল্য ৫ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। HTML এবং CSS সহকারে তৈরি করা ওয়েবসাইটের টেম্পলেটের জন্য সর্বোচ্চ ২০ ডলার নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে Joomla এবং Wordpress এর টেম্পলেটগুলো সর্বোচ্চ ৪৫ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। টেম্পলেটের মান এবং ক্রেতার চাহিদার উপর নির্ভর করে এক একটি টেম্পলেট সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বার পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। একই টেম্পলেট একশত বারের উপর বিক্রি হয়েছে এমন নজিরও নেহায়েত কম নয়। ফলে একই টেম্পলেট থেকে সময়ের সাথে সাথে আয় বাড়তে থাকে। ধরা যাক, আপনি একটি সাধারণ ওয়েবসাইটের টেম্পলেট এক্সক্লুসিভ ব্যবহারকারী হিসেবে তৈরি করেছেন, যার মূল্য ১০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেকবার টেম্পলেটটি কোন ক্রেতা সাইট থেকে কিনলে আপনি পাবেন ৪ ডলার। সময়ের সাথে সাথে একটি টেম্পলেট থেকেই ৮০ থেকে ১০০ ডলার বা তার চেয়ে অধিক আয় করা সম্ভব।
অর্থ উত্তোলনের পদ্ধতি
এনভাটো মার্কেটপ্লেসের যেকোন সাইট থেকে আয় করা অর্থ তিনটি পদ্ধতিতে উত্তোলন করা যায়। এগুলো হচ্ছে Paypal, Moneybookers এবং ব্যাংক ট্রান্সফার। আমাদের দেশে যেহেতু পেপাল সাপোর্ট নেই তাই সাইটগুলো থেকে অন্য দুটি পদ্ধতির যেকোন একটি দিয়ে অর্থ উত্তোলন করা যায়। মানিবুকারস দিয়ে অর্থ উত্তোলন করতে সর্বনিম্ন মোট আয় ৫০ ডলার হতে হবে। আর ব্যাংক ট্রান্সফারের জন্য কমপক্ষে ৫০০ ডলার আয় করতে হবে।
অনেকেই হয়ত জানেন না যে, মানিবুকারস পেপালের মতই একটি সার্ভিস যা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটি দিয়ে একদিকে যেরকম বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে নিরাপদে এবং কম খরচে অর্থ সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন, তেমনি এর পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে পণ্য ও সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন। আশা করা যায় বাংলাদেশীদের জন্য ই-কমার্স সাইট তৈরির যে প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল তা মানিবুকারসের কল্যাণে বহুলাংশে দূর হবে।
টেম্পলেট আপলোড করার পদ্ধতি
থিমফরেস্ট সাইটে একটি টেম্পলেট গ্রহণযোগ্য হতে হলে ফাইলগুলোকে একটি নির্দিষ্ট ফরমেটে সাজাতে হবে এবং ডিজাইনের গুণগত মান যাতে সাইটের নির্দেশমত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। টেম্পলেটের ধরন (PSD, HTML, Wordpress, Joomla ইত্যাদি) এর উপর ভিত্তি করে এর আলাদা ফরমেট ও নির্দেশাবলী রয়েছে। তাই আপলোড করার পূর্বে নির্দেশনাগুলো ভালভাবে দেখে নেয়া প্রয়োজন। সাধারণভাবে সকল ফাইলের ক্ষেত্রে যে কাজগুলো করতে হবে তা হচ্ছে,
- ডিজাইনের ৮০x৮০ পিক্সেলের একটি থাম্বনেইল ছবি যুক্ত করতে হবে।
- ডিজাইনের একটি প্রিভিউ ছবি যুক্ত করতে হবে যার সর্বোচ্চ প্রস্থ হবে ১২০০ পিক্সেল।
- মূল কাজটিকে একটি Zip ফাইলে
প্রয়োজনীয় সাহায্যকারী নির্দেশনা দিয়ে যুক্ত করতে হবে, যা পরিশেষে একজন
ক্রেতা টেম্পলেটটি কেনার পর ডাউলোড করবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে Zip ফাইলে যুক্ত কাজটিকে যতটা সম্ভব পরিবর্তনযোগ্য করে তৈরি করতে হবে। উদাহরণসরূপ ফটোশপের লেয়ারগুলো যাতে আলাদা আলাদা থাকে এবং লেখাগুলো যাতে পরির্তনযোগ্য হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়
এনভাটো মার্কেটপ্লেসে আপনি সেই সকল ফাইল বিক্রি করতে পারবেন যা আপনি নিজে তৈরি করেছেন। অন্য একটি ডিজাইনকে পরিবর্তন করে বা অন্য কোন সাইট থেকে ডিজাইন কিনে তা এই সাইটে বিক্রি করতে পারবেন না। এই মার্কেটপ্লেসে কোন ফাইল বিক্রি করার অর্থ হচ্ছে আপনি সম্মত হচ্ছেন যে, যারা আপনার ফাইলটি ক্রয় করবে তারা এর পূর্ণ কপিরাইট অর্জন করে নিজের কাজে ব্যবহার করতে পারবে। কোন কারণে কপিরাইট লংঙ্ঘিত হলে এনভাটো কর্তৃপক্ষ সাইটে আপনার একাউন্ট বন্ধ করে দিবে এবং অনেক ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাই সাইটের রেজিষ্ট্রেশন করার পূর্বে ভালভাবে তাদের কপিরাইট সংক্রান্ত নির্দেশগুলো পড়ে নিন।
অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সাইটেও ওয়েবসাইট ডিজাইন বা টেম্পলেট তৈরি করার অসংখ্য কাজ পাওয়া যায়। সেই সাইটগুলো থেকে এনভাটো-এর সাইটগুলোর মূল পার্থক্য হচ্ছে - অন্যান্য সাইটে একজন ক্রেতা তার ওয়েবসাইটের ডিজাইনের জন্য প্রজেক্ট তৈরি করে এবং বিড করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদেরকে আবেদন জানায়। ফ্রিল্যান্সাররা সেই প্রজেক্টে বিড করে এবং পরিশেষে একজন ফ্রিল্যান্সার সেই কাজটি করার সুযোগ লাভ করে। যা নতুনদের জন্য প্রথম কাজ পাওয়াটা অনেকটা সময়সাপেক্ষ এবং অনেকক্ষেত্রে হতাশাজনক। অন্যদিকে এনভাটো মার্কেটপ্লেসে কোন ধরনের বিড করা এবং ক্রেতার অনুগ্রহের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না। রেজিষ্ট্রেশন করার সাথে সাথেই আপনি কাজ শুরু করে দিতে পারেন। আপনার টেম্পলেটটি সাইটে স্থান পাবার প্রথম দিন থেকেই বিক্রি শুরু হয়ে যাবে। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, এই সাইটে উন্নতমানের ডিজাইনগুলোকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। তাই দক্ষ ওয়েবসাইট ডিজাইনারের জন্য এটি একটি উপযুক্ত মার্কেটপ্লেস।
নভ&
১৬
বর্তমান সময়ে জুমলা হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপারদের মধ্যে একটি আলোচিত বিষয়। এটি
দিয়ে একদিকে যেমন খুব সহজেই ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়, অন্য দিকে জুমলা হতে
পারে ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের প্রধান উৎস। প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং সাইটেই
জুমলার কাজ পাওয়া যায়। তবে শুধুমাত্র জুমলা ডেভেলপারদের জন্য সম্পূর্ণ একটি
ফ্রিল্যান্সিং পোর্টাল হচ্ছে জুমল্যান্সার্স। এই পর্বে জুমল্যান্সার্স
সাইটের বিভিন্ন ফিচার নিয়ে আলোচনা করা হল।
জুমলা পরিচিতি:
জুমলা (Joomla) হচ্ছে একটি Content Management System বা CMS যা দিয়ে অনায়াসে যেকোন ধরনের ওয়েবসাইট, কোন ধরনের প্রোগ্রামিং বা টেকনিক্যাল জ্ঞান ছাড়াই তৈরি করা সম্ভব। সহজ ইন্টারফেস এবং নিজের ইচ্ছেমত এটিকে পরিবর্তন করে নেবার ক্ষমতা জুমলাকে একটি শক্তিশালী ওয়েবসাইট তৈরির সফটওয়্যারে পরিণত করেছে। সর্বোপরি জুমলা একটি উন্মুক্তসোর্স সফটওয়্যার যা জুমলার ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যায়। জুমলার সাইটের ঠিকানা হচ্ছে - www.joomla.org । জুমলা PHP এবং MySQL দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাই জুমলা ইন্সটল করতে প্রথমে কম্পিউটারে এপাচি ওয়েব সার্ভার ইন্সটল করে নিতে হবে।
জুমলা দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে -
জুমল্যান্সার্স সাইট পরিচিতি:
জুমলা দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে যারা অনলাইনে আয় করতে আগ্রহী, তাদের জন্য চমৎকার একটি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইট হচ্ছে - জুমল্যান্সার্স। সাইটটির ঠিকানা হচ্ছে - www.joomlancers.com । প্রতিদিন সাইটটিতে প্রায় ১২৫ থেকে ১৫০ টি প্রজেক্ট পাওয়া যায়। সাইটে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার বায়ার বা ক্লায়েন্ট এবং প্রায় ৭ হাজার জুমলা ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপার রেজিষ্ট্রেশন করেছে। এই সাইটে কমিশন হিসেবে প্রতিটি প্রজেক্টের ২০% অর্থ কোডারকে পরিশোধ করতে হয়। সাইটের গোল্ড মেম্বারদেরকে কোন ফি পরিশোধ করতে হয় না। একজন সাধারণ ব্যবহারকারী মাসে ১৫ টি বিড করতে পারবে, অন্যদিকে একজন গোল্ড মেম্বার মাসে ১৫০ টি বিড করতে পারে। গোল্ড মেম্বার হতে হলে প্রতি মাসে ৩০ ডলার করে পরিশোধ করতে হয়। তবে ৯৫ ডলার দিয়ে এক বছরের জন্য গোল্ড মেম্বার হওয়া যায়। সাইটিতে রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য কোন ফি দিতে হয় না, উপরন্তু রেজিষ্ট্রেশন করার পর প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারকে ২ ডলার বোনাস প্রদান করা হয়।
জুমল্যান্সার্স যেভাবে কাজ করে:
জুমল্যান্সার্স সাইটটি অন্যান্য সাধারণ ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মতই কাজ করে -
১) প্রথমে বায়ার/ক্লায়েন্ট একটি নতুন প্রজেক্ট পোষ্ট করে।
২) ফ্রিল্যান্সারা ওই প্রজেক্টে বিড বা আবেদন করে।
৩) তাদের মধ্য থেকে বায়ার একজন ফ্রিল্যান্সারকে নির্বাচিত করে।
৪) এরপর বায়ার সাইটির Escrow একাউন্টে প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা জমা রাখে, যা কাজ সম্পন্ন হবার পর ফ্রিল্যান্সারকে টাকা পাবার নিশ্চয়তা প্রদান করে।
৫) ফ্রিল্যান্সার তার কাজ শুরু করে এবং সম্পন্ন হবার পর বায়ারের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
৬) প্রজেক্ট সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে বায়ার কাজটি গ্রহণ করে এবং পরিশেষে Escrow থেকে টাকা ফ্রিল্যান্সারের একাউন্টে চলে আসে।
প্রজেক্টের প্রকারভেদ:
সাইটিতে Joomla ছাড়াও Drupal, osCommerce, Wordpress এর অল্প সংখ্যক কাজ পাওয়া যায়। সাইটের প্রথম পৃষ্ঠায় সর্বশেষ প্রজেক্টগুলো প্রদর্শন করা হয়। একটি প্রজেক্টে বায়ার তার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য যোগ করতে পারে। বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে -
এই সাইটে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে বিড করতে হয়। অর্থাৎ একজন ফ্রিল্যান্সারের বিডে উল্লেখিত মূল্য, সময় এবং মন্তব্য যে কেউ দেখতে পায়। তবে বায়ার ইচ্ছে করলে তথ্যগুলো গোপন রাখতে পারে। বিড উন্মুক্ত থাকলেও PM বা প্রাইভেট ম্যাসেজ অপশনের মাধ্যমে বায়ারের সাথে একান্তভাবে যোগাযোগ করা যায়। বিড করার জন্য প্রথমে সাইটে রেজিষ্ট্রেশন এবং লগইন করে নিতে হবে। একটি প্রজেক্ট পৃষ্ঠার নিচের অংশে বিড করার ফরম পাওয়া যায় যাতে আপনার বিডের মূল্য, প্রজেক্ট সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাব্য সময়, নিজের সম্পর্কে বর্ণনা, বায়ারের সাথে একান্তভাবে যোগাযোগ করার জন্য PM ইত্যাদি তথ্য দিতে হয়।
অর্থ উত্তোলনের উপায়সমূহ:
জুমল্যান্সার্স সাইট থেকে তিনটি পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন করা যায়। প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে Paypal - যা আমাদের দেশে সাপোর্ট করে না। দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে MoneyBookers - এটি দিয়ে অর্থ উত্তোলন করতে জুমল্যান্সার্স সাইটকে ১ ডলার চার্জ দিতে হয়। পরবর্তীতে www.MoneyBookers.com সাইট থেকে আরেকটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে আপনার মাস্টার্ড কার্ড বা ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর করতে পারবেন। তৃতীয় পদ্ধতি হচ্ছে Wire Transfer - যা দিয়ে সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন। এর জন্য খরচ পড়বে ৩৫ ডলার।
পরিশেষে:
জুমলা দিয়ে কোন রকম প্রোগ্রামিং ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব হলেও নতুন কোন মডিউল বা ফিচার তৈরি করতে অবশ্যই আপনাকে প্রোগ্রামিং জানতে হবে। জুমল্যান্সার্স সাইটে জুমলা সেটাপ করা থেকে শুরু করে, টেম্পলেট ডিজাইন করা, মডিউল/প্লাগইনস তৈরি করা, কোড পরিবর্তন করা, অন্য একটি ওয়েবসাইটকে ক্লোন করা, জুমলার কনফিগারেশন পরিবর্তন করা ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায়। অর্থাৎ জুমলার প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, ওয়েবমাস্টার - সবার জন্যই জুমল্যান্সার্স হতে পারে আদর্শ অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।
জুমলা পরিচিতি:
জুমলা (Joomla) হচ্ছে একটি Content Management System বা CMS যা দিয়ে অনায়াসে যেকোন ধরনের ওয়েবসাইট, কোন ধরনের প্রোগ্রামিং বা টেকনিক্যাল জ্ঞান ছাড়াই তৈরি করা সম্ভব। সহজ ইন্টারফেস এবং নিজের ইচ্ছেমত এটিকে পরিবর্তন করে নেবার ক্ষমতা জুমলাকে একটি শক্তিশালী ওয়েবসাইট তৈরির সফটওয়্যারে পরিণত করেছে। সর্বোপরি জুমলা একটি উন্মুক্তসোর্স সফটওয়্যার যা জুমলার ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যায়। জুমলার সাইটের ঠিকানা হচ্ছে - www.joomla.org । জুমলা PHP এবং MySQL দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাই জুমলা ইন্সটল করতে প্রথমে কম্পিউটারে এপাচি ওয়েব সার্ভার ইন্সটল করে নিতে হবে।
জুমলা দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে -
- কর্পোরেট ওয়েবসাইট বা পোর্টাল
- কর্পোরেট ইন্ট্রানেট এবং এক্ট্রানেট
- অনলাইন ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র এবং বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনা
- ই-কমার্স সাইট এবং অনলাইন রিজার্ভেশন
- সরকারী বিভিন্ন সাইট
- মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট
- অলাভজনক এবং বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইট
- কমিউনিটি নির্ভর পোর্টাল
- বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট
- ব্যক্তিগত বা পারিবারিক হোমপেইজ
জুমল্যান্সার্স সাইট পরিচিতি:
জুমলা দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে যারা অনলাইনে আয় করতে আগ্রহী, তাদের জন্য চমৎকার একটি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইট হচ্ছে - জুমল্যান্সার্স। সাইটটির ঠিকানা হচ্ছে - www.joomlancers.com । প্রতিদিন সাইটটিতে প্রায় ১২৫ থেকে ১৫০ টি প্রজেক্ট পাওয়া যায়। সাইটে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার বায়ার বা ক্লায়েন্ট এবং প্রায় ৭ হাজার জুমলা ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপার রেজিষ্ট্রেশন করেছে। এই সাইটে কমিশন হিসেবে প্রতিটি প্রজেক্টের ২০% অর্থ কোডারকে পরিশোধ করতে হয়। সাইটের গোল্ড মেম্বারদেরকে কোন ফি পরিশোধ করতে হয় না। একজন সাধারণ ব্যবহারকারী মাসে ১৫ টি বিড করতে পারবে, অন্যদিকে একজন গোল্ড মেম্বার মাসে ১৫০ টি বিড করতে পারে। গোল্ড মেম্বার হতে হলে প্রতি মাসে ৩০ ডলার করে পরিশোধ করতে হয়। তবে ৯৫ ডলার দিয়ে এক বছরের জন্য গোল্ড মেম্বার হওয়া যায়। সাইটিতে রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য কোন ফি দিতে হয় না, উপরন্তু রেজিষ্ট্রেশন করার পর প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারকে ২ ডলার বোনাস প্রদান করা হয়।
জুমল্যান্সার্স যেভাবে কাজ করে:
জুমল্যান্সার্স সাইটটি অন্যান্য সাধারণ ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মতই কাজ করে -
১) প্রথমে বায়ার/ক্লায়েন্ট একটি নতুন প্রজেক্ট পোষ্ট করে।
২) ফ্রিল্যান্সারা ওই প্রজেক্টে বিড বা আবেদন করে।
৩) তাদের মধ্য থেকে বায়ার একজন ফ্রিল্যান্সারকে নির্বাচিত করে।
৪) এরপর বায়ার সাইটির Escrow একাউন্টে প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা জমা রাখে, যা কাজ সম্পন্ন হবার পর ফ্রিল্যান্সারকে টাকা পাবার নিশ্চয়তা প্রদান করে।
৫) ফ্রিল্যান্সার তার কাজ শুরু করে এবং সম্পন্ন হবার পর বায়ারের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
৬) প্রজেক্ট সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে বায়ার কাজটি গ্রহণ করে এবং পরিশেষে Escrow থেকে টাকা ফ্রিল্যান্সারের একাউন্টে চলে আসে।
প্রজেক্টের প্রকারভেদ:
সাইটিতে Joomla ছাড়াও Drupal, osCommerce, Wordpress এর অল্প সংখ্যক কাজ পাওয়া যায়। সাইটের প্রথম পৃষ্ঠায় সর্বশেষ প্রজেক্টগুলো প্রদর্শন করা হয়। একটি প্রজেক্টে বায়ার তার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য যোগ করতে পারে। বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে -
- Featured Project: এই ধরনের প্রজেক্টে একজন ফ্রিল্যান্সার তার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ইমেইল ঠিকানা, ইন্সন্ট্যান্ট ম্যাসেঞ্জার আইডি, ফোন নাম্বার ইত্যাদি বায়ারকে প্রদান করতে পারে। ফলে বায়ার প্রয়োজনে ফ্রিল্যান্সারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে।
- Gold Member Project: শুধুমাত্র গোল্ড মেম্বাররা এই ধরনের প্রজেক্টে বিড করতে পারে।
- Sponsored Project: এই ধরনের প্রজেক্টে বায়ার নিজের ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে পারে।
- Hide Bidding Project: এই ধরনের প্রজেক্টে একজন ফ্রিল্যান্সারের বিডের মূল্য অন্যরা দেখতে পায় না।
- Nonpublic Project: এই ধরনের প্রজেক্টগুলোকে সার্চ ইঞ্জিনের স্পাইডার থেকে লুকিয়ে রাখা হয় এবং শুধুমাত্র লগইন করার পর প্রথম পৃষ্ঠায় দেখা যায়।
- Private Project: এই ধরনের প্রজেক্টে কেবলমাত্র আমন্ত্রিত ফ্রিল্যান্সারাই বিড করতে পারে।
- Location Project: বায়ারের ঠিক করে দেয়া দেশের ফ্রিল্যান্সাররাই এই ধরনের প্রজেক্টে বিড করতে পারে।
- Urgent Project: এই ধরনের প্রজেক্টে বিড করার সময়সীমা হচ্ছে ৩ দিন।
এই সাইটে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে বিড করতে হয়। অর্থাৎ একজন ফ্রিল্যান্সারের বিডে উল্লেখিত মূল্য, সময় এবং মন্তব্য যে কেউ দেখতে পায়। তবে বায়ার ইচ্ছে করলে তথ্যগুলো গোপন রাখতে পারে। বিড উন্মুক্ত থাকলেও PM বা প্রাইভেট ম্যাসেজ অপশনের মাধ্যমে বায়ারের সাথে একান্তভাবে যোগাযোগ করা যায়। বিড করার জন্য প্রথমে সাইটে রেজিষ্ট্রেশন এবং লগইন করে নিতে হবে। একটি প্রজেক্ট পৃষ্ঠার নিচের অংশে বিড করার ফরম পাওয়া যায় যাতে আপনার বিডের মূল্য, প্রজেক্ট সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাব্য সময়, নিজের সম্পর্কে বর্ণনা, বায়ারের সাথে একান্তভাবে যোগাযোগ করার জন্য PM ইত্যাদি তথ্য দিতে হয়।
অর্থ উত্তোলনের উপায়সমূহ:
জুমল্যান্সার্স সাইট থেকে তিনটি পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন করা যায়। প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে Paypal - যা আমাদের দেশে সাপোর্ট করে না। দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে MoneyBookers - এটি দিয়ে অর্থ উত্তোলন করতে জুমল্যান্সার্স সাইটকে ১ ডলার চার্জ দিতে হয়। পরবর্তীতে www.MoneyBookers.com সাইট থেকে আরেকটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে আপনার মাস্টার্ড কার্ড বা ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর করতে পারবেন। তৃতীয় পদ্ধতি হচ্ছে Wire Transfer - যা দিয়ে সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন। এর জন্য খরচ পড়বে ৩৫ ডলার।
পরিশেষে:
জুমলা দিয়ে কোন রকম প্রোগ্রামিং ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব হলেও নতুন কোন মডিউল বা ফিচার তৈরি করতে অবশ্যই আপনাকে প্রোগ্রামিং জানতে হবে। জুমল্যান্সার্স সাইটে জুমলা সেটাপ করা থেকে শুরু করে, টেম্পলেট ডিজাইন করা, মডিউল/প্লাগইনস তৈরি করা, কোড পরিবর্তন করা, অন্য একটি ওয়েবসাইটকে ক্লোন করা, জুমলার কনফিগারেশন পরিবর্তন করা ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায়। অর্থাৎ জুমলার প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, ওয়েবমাস্টার - সবার জন্যই জুমল্যান্সার্স হতে পারে আদর্শ অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।
স&#
০১
ওডেস্ক হচ্ছে একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেখানে সারা পৃথিবী থেকে
প্রায় ১ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে। এই মূহূর্তে ওডেস্কে চার হাজারের উপর
কাজ রয়েছে। সাইটটিতে প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য "একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ
মূল্য" হিসেবে অথবা "প্রতি ঘন্টা কাজের জন্য অর্থ" উভয় প্রকারের কাজ পাওয়া
যায়। তবে ঘন্টা হিসেবে কাজের জন্য ওডেস্ক বেশি জনপ্রিয়। এই পদ্ধতিতে কাজ
করে তুলনামূলকভাবে অন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো থেকে বেশি অর্থ উপার্জন করা
সম্ভব। ওডেস্ককে আপনি একটি ভার্চুয়াল অফিসের সাথে তুলনা করতে পারেন,
যেখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ে ইন্টারনেটে উপস্থিত থেকে কাজ করবেন। ওই
সময়ে আপনার কি কি কাজ করছেন তা আপনার চাকুরীদাতা (বায়ার) - এর কাছে একটি
নির্দিষ্ট সময় পর পর স্কিনশটের মাধ্যমে রিপোর্ট পৌছে যাবে। আপনি যতক্ষণ কাজ
করবেন ঠিক ততটুকু মূল্য আপনাকে পরিশোধ করা হবে। অতিরিক্ত সময় কাজ করলে তার
মূল্যও আপনি পাবেন। কমিশন হিসেবে এই সাইটের চার্জ হচ্ছে মোট মূল্যের ১০%।
বর্তমানে ওডেস্ক আমাদের দেশী প্রোভাডারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাইটিতে এই মূহূর্তে এক হাজারের উপর বাংলাদেশী প্রভাইডার রেজিষ্ট্রেশন করেছেন যাদের মধ্য অনেকেই ৫০০ ঘন্টার উপর কাজ করে ওডেস্ক থেকে অর্থ উপার্জন করেছেন। সাইটে রয়েছেন ডাটা এন্ট্রে অপারেটর, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কনসাল্টেন্ট, প্রোগ্রামার, ওয়েবসাইট ডেভেলপার, লেখক ইত্যাদি পেশার বাংলাদেশী প্রোভাডার। আশা করা যায় বেকার সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের তরুন সমাজ ওডেস্কের মত সাইটগুলোকেই একসময় তাদের ভার্চুয়াল অফিস হিসেবে বাছাই করে নিবে।
ওডেস্কে একটি প্রজেক্টের বিবরণ:
সাইটে লগইন করার পর Find Jobs ট্যাব থেকে আপনার পছন্দের কাজের বিভাগে ক্লিক করুন। একটি প্রজেক্টের পৃষ্ঠায় প্রজেক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য থাকে। প্রজেক্টে কাজ করতে চাইলে আপনাকে প্রজেক্টিতে আবেদন করতে হবে। তবে সবকিছুর পূর্বে অবশ্যই আপনাকে Readiness Test দিয়ে তাতে উত্তীর্ণ হতে হবে। অনেক প্রজেক্টে আবেদন করতে বিভিন্ন টেস্টের সার্টিফিকেট আপনার থাকতে হবে। তাই যত বেশি টেস্ট দিবেন তত বেশি প্রজেক্টে আবেদন করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। বায়ার আপনাকে নির্বাচিত করলে আপনার কম্পিউটারে "oDesk Team" সফটওয়ারটি চালু করুন এবং লগইন করে কাজ শুরু করুন।
বর্তমানে ওডেস্ক আমাদের দেশী প্রোভাডারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাইটিতে এই মূহূর্তে এক হাজারের উপর বাংলাদেশী প্রভাইডার রেজিষ্ট্রেশন করেছেন যাদের মধ্য অনেকেই ৫০০ ঘন্টার উপর কাজ করে ওডেস্ক থেকে অর্থ উপার্জন করেছেন। সাইটে রয়েছেন ডাটা এন্ট্রে অপারেটর, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কনসাল্টেন্ট, প্রোগ্রামার, ওয়েবসাইট ডেভেলপার, লেখক ইত্যাদি পেশার বাংলাদেশী প্রোভাডার। আশা করা যায় বেকার সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের তরুন সমাজ ওডেস্কের মত সাইটগুলোকেই একসময় তাদের ভার্চুয়াল অফিস হিসেবে বাছাই করে নিবে।
ওডেস্কে একটি প্রজেক্টের বিবরণ:
সাইটে লগইন করার পর Find Jobs ট্যাব থেকে আপনার পছন্দের কাজের বিভাগে ক্লিক করুন। একটি প্রজেক্টের পৃষ্ঠায় প্রজেক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য থাকে। প্রজেক্টে কাজ করতে চাইলে আপনাকে প্রজেক্টিতে আবেদন করতে হবে। তবে সবকিছুর পূর্বে অবশ্যই আপনাকে Readiness Test দিয়ে তাতে উত্তীর্ণ হতে হবে। অনেক প্রজেক্টে আবেদন করতে বিভিন্ন টেস্টের সার্টিফিকেট আপনার থাকতে হবে। তাই যত বেশি টেস্ট দিবেন তত বেশি প্রজেক্টে আবেদন করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। বায়ার আপনাকে নির্বাচিত করলে আপনার কম্পিউটারে "oDesk Team" সফটওয়ারটি চালু করুন এবং লগইন করে কাজ শুরু করুন।
আগস
০১
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার
হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ী এবং ফ্রিল্যান্সার বা স্বাধীনভাবে যারা কাজ
করে তাদের জন্য অনলাইনে সাক্ষাতের স্থান। এই সাইটে একজন ক্রেতা বা বায়ার
প্রজেক্ট সাবমিট করে এবং একজন ফ্রিল্যান্সার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের
বিনিময়ে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস প্রদান করে। এই সাইটে একজন
ফ্রিল্যান্সারকে বলা হয় 'প্রোভাইডার'। সাইটের কমিশন কম হওয়ায় এবং গোল্ড
মেম্বার, ট্রায়াল প্রজেক্ট ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা থাকায় প্রতিদিন সারা
পৃথিবীর অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করছে। বর্তমানে এই
সাইটে মোট ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা হচ্ছে ৭ লক্ষের উপরে। সাইটে প্রজেক্টের
সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়, প্রতিদিন বিভিন্ন বিভাগে অসংখ্য নতুন নতুন কাজ আছে।
প্রতিদিন গড়ে ৩,০০০ কাজ এই সাইটে পাওয়া যাবে। প্রজেক্টের বিভিন্ন বিভাগের
মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি,
ডাটা প্রসেসিং, কপিরাইটিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, মার্কেট রিসার্চ, সার্চ
ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ওয়েব প্রোমোশন ইত্যাদি। অর্থাৎ প্রায় সকল ধরনের
কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য এই সাইটে কাজ পাওয়া যায়।
টাকা উত্তোলনের উপায়সমূহ
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইট থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা উত্তোলন করা যায়। তার মধ্যে রয়েছে - Payoneer Debit Card, Moneybookers, Wire Transfer ইত্যাদি। টাকা উত্তোলনের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পেওনার ডেবিট কার্ডটি। সাইটে আপনার একাউন্টে ৩০ ডলার থাকলে আপনি এই কার্ডের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। এরপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এই মাস্টারকার্ডটি আপনার ঠিকানায় পৌছে যাবে। এটি দিয়ে বিভিন্ন ব্যংকের ATM থেকে সরাসরি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
গোল্ড মেম্বারদের জন্য সুবিধাসমূহ
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে ইউজারদের জন্য গোল্ড মেম্বার নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা চালু আছে। গোল্ড মেম্বার হতে আপনাকে প্রতি মাসে ১২ ডলার পরিশোধ করতে হবে। এর সুবিধাগুলো হচ্ছে -

নতুনদের জন্য ট্রায়াল প্রজেক্টগেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে 'ট্রায়াল প্রজেক্ট' নামে অনেক প্রজেক্ট পাওয়া যায় যাতে শুধুমাত্র একজন নতুন প্রোভাইডার বিড করতে পারে। ফলে এসব প্রজেক্টের মাধ্যমে নতুন ইউজাররা খুব সহজেই তাদের প্রথম কাজ সম্পন্ন করতে পারে। তবে একটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করে বায়ারের রেটিং বা ফিডব্যাক পাবার পর আপনি আর কোন ট্রায়াল প্রজেক্টে বিড করতে পারবেন না। যেসব প্রজেক্টের নামের পাশে মানুষের ছবিযুক্ত আইকন থাকে, সেগুলো হচ্ছে ট্রায়াল প্রজেক্ট।
টাকা উত্তোলনের উপায়সমূহ
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইট থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা উত্তোলন করা যায়। তার মধ্যে রয়েছে - Payoneer Debit Card, Moneybookers, Wire Transfer ইত্যাদি। টাকা উত্তোলনের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পেওনার ডেবিট কার্ডটি। সাইটে আপনার একাউন্টে ৩০ ডলার থাকলে আপনি এই কার্ডের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। এরপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এই মাস্টারকার্ডটি আপনার ঠিকানায় পৌছে যাবে। এটি দিয়ে বিভিন্ন ব্যংকের ATM থেকে সরাসরি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে ইউজারদের জন্য গোল্ড মেম্বার নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা চালু আছে। গোল্ড মেম্বার হতে আপনাকে প্রতি মাসে ১২ ডলার পরিশোধ করতে হবে। এর সুবিধাগুলো হচ্ছে -
- প্রতি প্রজেক্ট শেষে সাইটকে কোন কমিশন প্রদান করতে হয় না। অন্যদিকে সাধারণ ব্যবহারকারীকে প্রতি প্রজেক্টের মোট মূল্যের ১০% কমিশন হিসেবে দিতে হয়।
- সাধারণ ব্যবহারকারী হলে আপনি মাসে ১৫ টির বেশি বিড করতে পারবেন না। অন্যদিকে গোল্ড মেম্বার হলে মাসে সর্বোচ্চ ১৬০ টি প্রজেক্টে বিড করতে পারবেন।
- সাইটে অনেক প্রজেক্ট আছে যাতে শুধুমাত্র গোল্ড মেম্বারাই বিড করতে পারে।
- গোল্ড মেম্বারদের নামের পাশে সবসময় একটি G চিহ্ন থাকে, যা তাদের গোল্ড মেম্বারশীপ প্রকাশ করে।
- গোল্ড স্টেটাস থাকার কারনে গোল্ড মেম্বারদের অন্যদের চেয়ে প্রজেক্ট পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
নতুনদের জন্য ট্রায়াল প্রজেক্টগেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে 'ট্রায়াল প্রজেক্ট' নামে অনেক প্রজেক্ট পাওয়া যায় যাতে শুধুমাত্র একজন নতুন প্রোভাইডার বিড করতে পারে। ফলে এসব প্রজেক্টের মাধ্যমে নতুন ইউজাররা খুব সহজেই তাদের প্রথম কাজ সম্পন্ন করতে পারে। তবে একটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করে বায়ারের রেটিং বা ফিডব্যাক পাবার পর আপনি আর কোন ট্রায়াল প্রজেক্টে বিড করতে পারবেন না। যেসব প্রজেক্টের নামের পাশে মানুষের ছবিযুক্ত আইকন থাকে, সেগুলো হচ্ছে ট্রায়াল প্রজেক্ট।
প্রোভাইডারদের জন্য কয়েকটি গাইডলাইন
- একটি
প্রজেক্ট সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা না নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত নয়।
বায়ার তাদের চাহিদা বিড রিকোয়েস্টের সাথে সম্পূর্ণভাবে উল্লেখ নাও করতে
পারে। তাই যতটুকু সম্ভব তাদেরকে প্রশ্ন করুন। তারপর প্রজেক্টের
রিকোয়ারমেন্ট আপনার নিজের ভাষায় বায়ারকে লিখে জানান। এতে বায়ারের চাহিদা
সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন এবং কাজ করার সময় আপনার পরিশ্রম অনেকখানি
কমে যাবে। প্রশ্ন করলে বায়ার খুশি হয় এবং আপনার আগ্রহ সম্পর্কে নিশ্চিত
হতে পারে।
- একটি কাজ পাবার পর বায়ার সাধারণত Escrow নামক ফিচারের মাধ্যমে সাইটে প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা জমা রাখে। ফলে কাজ শেষে আপনার পাওনা টাকা সাথে সাথে পাবার সম্ভাবনা নিশ্চিত হয়। কোন কারনে টাকা জমা না রাখলে তাকে সাইটের Escrow তে টাকা জমা রাখতে অনুরোধ করুন।
- সম্পূর্ণ কাজকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করুন এবং প্রতিটি ধাপ শেষ হবার পর পর বায়ারকে দেখান।
- ডেডলাইন সময় শেষ হবার পূর্বেই সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করুন এবং বায়ারের কাছে পাঠিয়ে দিন।
- বায়ারের কাছে কাজ পাঠানোর পূর্বে ভাল করে রিকোয়ারমেন্ট আরেকবার দেখে নিন এবং সম্পূর্ণ কাজ ভাল করে পরীক্ষা করুন।
জ&#
০১
রেন্ট-এ-কোডার
হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস যেখানে প্রোগ্রামারদেরকে
স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ করে দেয়। এই সাইটে প্রোগ্রামিং এর পাশাপাশি
গ্রাফিক্স ডিজাইন, রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO),
গেম ডেভেলপমেন্ট সহ অসংখ্য ধরনের কাজ পাওয়া যায়। অতীতে কম্পিউটার ভিত্তিক
ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের লোকাল বা আঞ্চলিক সার্ভিসের
উপর নির্ভর করতে হত। এতে সার্ভিসের গুণগত মান ভাল হত না এবং আনেক ক্ষেত্রে
সার্ভিস চার্জ অনেক বেশি হত। বর্তমানে রেন্ট-এ-কোডারের মত সাইটগুলো
আউটসোর্সিং-এর যে সুযোগ করে দিয়েছে তাতে ক্লায়েন্টরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ
থেকে বাছাই করে তুলনামূলকভাবে কম খরচে ভাল লোক দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারছে। অন্যদিকে প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, অপারেটর এবং অন্যান্য প্রোফেশনালরা তাদের ঘরে বসে বৈদিশিক মূদ্রা অর্জন করতে পারছে।
রেন্ট-এ-কোডারে দুই ধরনের ব্যবহারকারী আছে। যারা এই সাইটে প্রজেক্ট পোস্ট করে তাদেরকে বলা হয় বায়ার (Buyer) এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় কোডার (Coder)। বলা বাহুল্য, এই সাইটে কোডার বলতে কেবলমাত্র প্রোগ্রামারই নয় বরং সকল ফ্রিল্যান্সারকেই বোঝায়। এ পর্যন্ত প্রায় ২,১৭,০০০ কোডার রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে।
রেন্ট-এ-কোডারে দুই ধরনের ব্যবহারকারী আছে। যারা এই সাইটে প্রজেক্ট পোস্ট করে তাদেরকে বলা হয় বায়ার (Buyer) এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় কোডার (Coder)। বলা বাহুল্য, এই সাইটে কোডার বলতে কেবলমাত্র প্রোগ্রামারই নয় বরং সকল ফ্রিল্যান্সারকেই বোঝায়। এ পর্যন্ত প্রায় ২,১৭,০০০ কোডার রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে।
No comments:
Post a Comment