Friday, February 15, 2013
দ্রুত থ্রিজি আনতে মামলার নিস্পত্তির উদ্যোগ। ভ্যাট রিবেট পেয়ে যেতে পারে অপারেটররা
দ্রুততার সঙ্গে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সেবা বেসরকারি পর্যায়ে উন্নমুক্ত করতে অপারেটরদের সঙ্গে ভ্যাট জটিলতাসহ অন্যান্য মামলার সুরাহ করতে উঠে পড়ে লেগেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন-বিটিআরসি। এক্ষেত্রে অপারেটরদেরকে প্রয়োজনে বেশ কিছু ছাড় দেওয়ার বিষয়ও রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় টুজি লাইসেন্স নবায়নের ভ্যাট রিবেট পেয়ে যেতে পারে মোবাইল ফোন অপারেটররা।
রোববার মোবাইল ফোন অপারেটরদের আইন কর্মকর্তা এবং বিটিআরসি এক কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ বিষয়ে দিক নির্দেশনা ঠিক করা হয়। এক্ষেত্রে বিটিআরসি’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের দায়ের করা আটটি মামলা দ্রুততার সঙ্গে সুরাহের উপায় খুঁজতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দ্রুত থ্রিজি উন্নুক্ত করে দিয়ে এ খাত থেকে সরকার বড় অংকের অর্থ আয় করতে চাইছে। টাকাটি তারা এমনভাবে চায় যাতে এই সরকারের মেয়াদেই তা খরচ করা যায়। সে লক্ষ্যে সরকার পক্ষের অনেক কিছুই এখন নরম হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি’র আইন পরামর্শক সংস্থা লেক্স কাউন্সিলের এক আইনজীবী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘এক সময় আমরা শত্রু শত্রু খেলা খেলতাম। কিন্তু এখন বিটিআরসি-অপারেটর এবং মন্ত্রনালয় ভাই ভাই হয়ে গেছি। এখন এনবিআরকে এই হিসাবের মধ্যে আনতে পারলেই সব সমস্যার সমাধান।’
জানা গেছে, বিটিআরসি’র বিরুদ্ধে অপারেটরদের মামলাগুলো মূলত ভ্যাট রিবেট পাওয়া সংক্রান্ত। কিন্তু এনবিআর বলছে, এ ক্ষেত্রে রিবেটের সুযোগ নেই। এই জটিলতা নিরসনে আগামী সপ্তাহে আবারো অর্থমন্ত্রী, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং বিটিআরসি এনবিআর এবং মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে।
গত বছরও একবার সরকারের শীর্ষ ছয় মন্ত্রীর বৈঠক করে দুই পক্ষ থেকে মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু মামলা তুলে নেওয়ার সেই কার্যক্রম খুবই ধীর গতিতে এগুচ্ছিল। পরে বিটিআরসি’র নতুন চেয়ারম্যান আসার পর এ বিষয়ে আবারো উদ্যোগ নেওয়া হয়।
রোববারের বৈঠকে সভাপতিত্বকারী কমিশনার এ টি এম মনিরুল আলম বলেন, মামলাগুলো নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। সে কারণে এগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
কিছুদিন আগে এ বিষয়ে জানতে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, মামলা তো আর জনম জনম চলতে পারে না। তাছাড়া একই ক্ষেত্রে কাজ করে একজন আরেকজনের মুখোমুখি দাঁড়ালে জনগনই সেবা বঞ্চিত হবেন।
এদিকে মোবাইল ফোন অপারেটররা জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দিকে এগুলে তারা মামলা তুলে নিতে রাজি আছেন। কিন্তু আইন প্রতিষ্ঠায় মামলাই এখন তাদের শেষ অস্ত্র। সেটি তুলে নিতে বাধ্য করা হলে তখন তাদের হাতে আর কিছুই থাকবে না। সেক্ষেত্রে সব পরিস্থিতি দেখে বাস্তবতা বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment