বাতিল হতে পারে বাংলালায়ন ও কিউবির লাইসেন্স! "ষড়যন্ত্র" বলছে বাংলালায়ন
ওয়াইম্যাক্স গাইডলাইনের শর্তানুসারে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৬৪
জেলায় অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষকে ইন্টারনেট সেবা দিতে না পারার কারণে বাতিল
হতে পারে বাংলালায়ন ও কিউবির লাইসেন্স। এ ব্যাপারে বাংলালায়নের প্রধান
বিপণন কর্মকর্তা জি এম ফারুক খান প্রিয়.কমকে জানিয়েছেন, বাংলালায়ন
বিশ্বের ওয়াইম্যাক্স টেকনোলজিতে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী একটি দেশীয়
সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও একটি স্বার্থান্বেষী মহল
প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা দেশের
বিরুদ্ধেই অপপ্রচারের সামীল। এদিকে বিটিআরসির পরিচালক (মিডিয়া উইং) জাকির
হোসেন খান প্রিয়.কমকে বলেছেন, কমিশনে নির্ধারিত সময়ে ওয়াইম্যাক্স নিয়ে
মিটিং হবে। তারপর চূড়ান্ত হবে ওয়াইম্যাক্সে কে থাকবে আর কে যাবে।
জানা গেছে, সারা দেশে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে বাংলালায়ন ও
কিউবিকে ওয়াইম্যাক্স (দ্রুতগতির তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা) লাইসেন্স দেওয়া
হলেও তারা শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অধিকাংশ জেলা শহরেও এমনকি খোদ রাজধানীতেও ঠিকমতো সেবা দিতে পারছে না অপারেটর দুটি।
আগামী মাসে তাদের ৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। গাইডলাইন অনুযায়ী কথা ছিল দুটি
অপারেটর এ সময়ের মধ্যে দেশের ৬৪টি জেলা এমনকি উপজেলা ও প্রত্যন্ত গ্রামে
তাদের ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেবে।
শর্ত অনুযায়ী প্রত্যেক
অপারেটরকে ৫ বছরে কমপক্ষে ৫ মিলিয়ন করে গ্রাহককে সংযোগ দেয়ার কথা ছিল।
দুটি অপারেটর মিলে গত ৫ বছরে গ্রাহক তৈরি করেছে মাত্র ৭ লাখ।
এছাড়া ৬৪ জেলায় নয় বর্তমানে রাজধানীর অধিকাংশ থানাতেও বাংলালায়ন ও কিউবির সংযোগ দিতে সক্ষম হয়নি।
যারা সংযোগ নিয়েছেন তাদের অধিকাংশ গ্রাহক দিনে-রাতে গড়ে ৬-৭ ঘণ্টার বেশি
ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। বেশিরভাগ সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকছে।
একই সঙ্গে গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন, উন্নত সার্ভিস ও কম দামে ইন্টারনেট
পৌঁছে দেয়ার যে অঙ্গীকার করেছিল সেটাও পূরণ করতে পারেনি অপারেটর দুটি।
No comments:
Post a Comment